১০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, টাওয়ার ওয়াগন চালক শ্রী জিতেন্দ্র কুমার কর্তব্যরত অবস্থায় অসাধারণ সতর্কতা এবং নিষ্ঠা প্রদর্শন করেন। কর্তব্যের সময়, তিনি আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রাজাভাতখাওয়া এবং কালচিনি সেকশনের মধ্যে দুটি হাতি রেললাইন পার হতে দেখেন। দ্রুত এবং দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে, তিনি ব্রেক লাগান এবং টাওয়ার ওয়াগনটিকে সম্পূর্ণরূপে থামিয়ে দেন, যার ফলে হাতিকে ধাক্কা দেওয়ার সম্ভাব্য ঘটনাকে রোধ করা গেল।
advertisement
আরও পড়ুন: ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে তীব্র জল্পনা! ‘বাবা সেরে উঠছেন’, পোস্ট করে জানালেন এষা দেওল
আরেকটি ঘটনায়, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, একটি স্পেশাল ট্রেনে কর্তব্যরত অবস্থায়, লোকো পাইলট শ্রী সত্যেন্দ্র যাদব এবং সহকারী লোকো পাইলট শ্রী সুদর্শন হাতিমুরিয়া তিনসুকিয়া ডিভিশনের মরিয়নি-তিতাবর সেকশনে চারটি হাতি রেললাইন পার হতে দেখেন। তারা দ্রুত ব্রেক লাগিয়ে এবং সময়মতো ট্রেন থামিয়ে চারটি হাতির জীবন রক্ষা করেন।
একইভাবে, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, ট্রেন নং. ২০৫০৩ (ডিব্রুগড় – নিউ দিল্লি) রাজধানী এক্সপ্রেসের চালক দল লোকো পাইলট শ্রী লালমন এবং সহকারী লোকো পাইলট শ্রী বিনিত গুপ্তা তিনসুকিয়া ডিভিশনের বোকাজান-খটখটি সেকশনের মাঝামাঝি ট্র্যাকে একটি হাতি দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিকভাবে আপালতালীন ব্রেক লাগিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়, যার ফলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ হয় এবং বন্যপ্রাণী এবং যাত্রী উভয়েরই সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
এই উদাহরণ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত নিষ্ঠা, সতর্কতা এবং সহানুভূতির প্রতিফলন। ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কে দীর্ঘতম হাতি করিডোর-সহ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বন্যপ্রাণী রক্ষার পাশাপাশি সুরক্ষিত ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবেদনশীল এলাকায় হাতি-ট্রেন সংঘর্ষ কম করার জন্য ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম, আন্ডারপাস নির্মাণ এবং টহল ব্যবস্থা বৃদ্ধিকরণের মতো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
