শিলিগুড়ি বনমালা থিয়েটার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল এক অনন্য অনুষ্ঠান- ‘থিয়েটারের সঙ্গে শিশু দিবস পালন’। শহরের বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিশু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাজির হয়েছিল। মঞ্চে একের পর এক নাটক, করতালির গর্জনে চারিদিক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাস।
advertisement
এদিন মঞ্চে তিনটি জনপ্রিয় নাটক পরিবেশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কাবুলিওয়ালা’, মনোজ মিত্রের ‘ফ্যানসি ও ন্যানসি’ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য উপযুক্ত নতুন নাটক ‘খোয়াব’। দর্শকাসনে বসা শিশুদের চোখে কখনও হাসি, কখনও বিস্ময়। নাটকের ভাষায় তাঁরা যেন নতুন করে গল্প, মানুষ, জীবনকে চিনছে।
আয়োজনের মূল ভাবনা প্রসঙ্গে বনমালার সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “আজকের বাচ্চারা সিনেমা বা মোবাইলেই গল্প খোঁজে। আমরা চাই তাঁরা যেন নাটকের ভাষায় মানুষ ও অনুভূতিকে চিনতে শেখে। তাই এই উদ্যোগ।” কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম শতবর্ষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই আয়োজনকে ঘিরে শহরের বহু সাংস্কৃতিক কর্মী ও থিয়েটারপ্রেমী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। দিনভর হাসি, করতালি ও সংলাপে মুখর হয়ে উঠেছিল দীনবন্ধু মঞ্চ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শেষে যখন আলো নিভে আসে, এক ছোট্ট মেয়ে মায়ের হাত ধরে বলে ওঠে, “মা, আমিও নাটক করব!” ঠিক সেই মুহূর্তেই যেন বোঝা যায়, শিলিগুড়ির থিয়েটার সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের হাতে যেন এবার পৌঁছে গেল।





