বিএসএফের পক্ষ থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তা দিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের উন্মুক্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা দেবী বেপারি বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে আমাদের চাষের জমি রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের জমিতে যেতে হয়। এখানে বিএসএফ ভাল পাহারা দিচ্ছে। আমরা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে রয়েছি।
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজো নয়! মকর সংক্রান্তিতেও আকাশ জুড়ে ঘুড়ির কাটাকুটি…কোথায় জানেন?
মালদহে মোট ১৭১ কিলোমিটার এলাকা ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ১২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কাঁটাতার বেড়া। বাকি প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোন কাঁটাতার। এছাড়াও প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে জলপথ। এই উন্মুক্ত এলাকাগুলি দিয়েই বাংলাদেশের পাচারকারীরা এদেশে বিভিন্ন সামগ্রী যেমন বেআইনিভাবে পাচার করছে পাশাপাশি এই সমস্ত ফাঁকা জায়গা দিয়ে অনেক সময় অনুপ্রবেশ হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বহু ভারতীয় কৃষক কৃষি কাজ করছেন। যে সমস্ত এলাকায় কাঁটা তার বেড়া নেই, সেখানে কৃষকদের ফসল বাংলাদেশিরা নষ্ট করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই সমস্ত দিক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর পক্ষ থেকে এই সমস্ত উন্মুক্ত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা গুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, হবিবপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। তবে বিএসএফ জওয়ানরা নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন। পাচার অনুপ্রবেশ রুখতে প্রশংসনীয় কাজ করছেন তাঁরা। তার ফলে এলাকার মানুষ অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন।
আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজো নয়! মকর সংক্রান্তিতেও আকাশ জুড়ে ঘুড়ির কাটাকুটি…কোথায় জানেন?
জওয়ানদের টহলদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে, পাশাপাশি দূরবীন দিয়ে এলাকাগুলোর নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। রাতেও এই সমস্ত ফাঁকা অঞ্চল গুলিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিএসএফের নজরদারি চালানোর ফলে অনেকটাই সুরক্ষিত হচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার ভারতীয় সাধারণ মানুষেরা।
হরষিত সিংহ