অধুনা জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত, বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদাড়িহাট থানার অন্তর্গত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর থাকা এই বাংলো বহু ইতিহাসের সাক্ষী। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হলং বন বাংলো।
দাবানলের গতিতে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যে তথা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বন ও বন্যপ্রাণপ্রেমী পর্যটকদের মন খারাপ। বন বাংলো পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে হতাশ জলপাইগুড়ির রেসকোর্স পাড়ার হুসেন পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন- আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কাঁপানো আপডেট, লাল, কমলা ও হলুদ সতর্কতা
জলদাপাড়া বন বাংলোর সঙ্গে এই পরিবারের সদস্যদের যোগসূত্র বহু দিনের। পরিবারের অন্যতম সদস্য ২০১৯ সালে প্রয়াত কবীর হুসেন ছিলেন জলপাইগুড়ির সরকারী সার্কিট হাউসের প্রধান সেফ।
পুজোর ছুটিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রায় প্রতি বছর দু-চার দিন এসে থাকতেন পুড়ে যাওয়া হলং বন বাংলোটিতে। আর সেই দিন গুলোতে রান্নার জন্য ডাক পড়ত কবীর হুসেনের।
আরও পড়ুন- কেন পুড়ে গেল ঐতিহ্যের হলং বন বাংলো? সামনে এল চাঞ্চল্যকর কারণ, শুরু গভীর তদন্ত
আজও সেই স্মৃতি মনে পড়ে প্রয়াত কবীর হুসেনের স্ত্রী-পুত্রের। একদা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় পাচকের হাতে রান্না করা ঢেঁকি শাক, বোরলি মাছের ঝোল খেয়ে খুশিতে জ্যোতি বসু তাঁদের পরিবারের জন্য নতুন কাপড় পাঠিয়ে দিতেন। এ কথা জানালেন ফতেমা বেগম। আজ সেসব শুধুই ইতিহাস।
সুরজিৎ দে