বাবা প্রয়াত হওয়ায় অনুজা মায়ের সঙ্গে মিলে দোকানে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালায়। এছাড়াও বাধ্য হয়ে অনেক সময় শ্রমিকের কাজও করতে হয়। ভয়াবহ অভাব সত্ত্বেও পড়াশোনা ছাড়েনি সে। কালচিনির হিন্দি হাইস্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছে। তা বলে ৯৩% নম্বর পাবে তা বোধহয় সকলেরই ভাবনার বাইরে ছিল। মেয়ের এই সাফল্যে খুশি মা রীতা বিশ্বকর্মা।
advertisement
আরও পড়ুন: আর ক্যান্সারের ভয় নেই, অক্ষয় তৃতীয়া থেকে মিলছে খাঁটি মশলা-ছাতু
মেয়ের স্বপ্ন সফল করতে আরও পরিশ্রম করবেন বলে জানিয়েছেন রীতা। এত পরিশ্রম সত্ত্বেও এমন তাক লাগানো সাফল্য প্রসঙ্গে অনুজা বিশ্বকর্মা বলে, দুটো টিউশন নিয়েছিলাম। স্কুলের শিক্ষকরা সাহায্য করতেন। কোনওদিন স্কুল ছুটি নিইনি। দোকানে কাজ করে টিউশনের টাকা জোগাড় করতাম। ভাল ফলাফল হবে আশা করেছিলাম।
অনুজা পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে অধ্যাপক হতে চায়। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করবেন বলে ঠিক করেছেন। আমি প্রতিষ্ঠিত হলে আর আমার মাকে কষ্ট করতে হবে না। একইভাবে টিউশন করে কলেজের পড়ার খরচ ওঠাতে চান তিনি। পাশাপাশি সরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলিতেও বসতে চান।
অনন্য দে