জেলা কোচবিহারের হেরিটেজ কমিটির সদস্য এবং ইতিহাস অনুসন্ধানী ঋষিকল্প পাল জানান, “জেলার অন্যতম প্রাচীন এই সাগরদিঘি চত্বরে চারটি ঘাট ছিল। এই ঘাটগুলি রাজ আমলে তৈরি করা হয়। তবে সংস্কারের ফলে তিনটি ঘাট সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যার ফলে ঐতিহাসিক নিদর্শন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হেরিটেজ সংরক্ষণ মানে সেখানে নতুন কিছু তৈরি করা নয়। পুরনো জিনিসটি যেভাবে রয়েছে তাকে সেভাবেই সংরক্ষণ করা। তবে এক্ষেত্রে হেরিটেজের এই জিনিসটিকে এরকম ভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। এছাড়াও দিঘির একটি পুরনো নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে গিয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! দুপুর বেলার বাড়িতে ওটা কী ঢুকে পড়ল! মাথায় হাত সকলের, ভয়ে ফোন ধরল বলল…
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “সাগরদিঘি চত্বরে সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। জেলার মানুষেরা যেমনই এখানে বেড়াতে আসেন, তেমনই জেলার বাইরেরও বহু মানুষ এখানে ঘুরতে এসে থাকেন। সাগরদিঘির ফুটপাথে বসানো হয়েছে কোবাল্ট ব্লক। যেগুলিকে সংরক্ষণ করতে গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে। তবে সেই গার্ডওয়াল ভেঙে ফেলছেন বহু মানুষ। এছাড়া সন্ধের সাগরদিঘি চত্বরের পরিবেশ নিয়ে বয়স্ক নাগরিকেরা একাধিক প্রশ্ন তুলছেন। তাই এই চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা হয়েছে গার্ড দেওয়ার জন্য। যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়।”
আরও পড়ুন: ‘ঘর থেকে বেরোস না’, পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দাদের এখন এক কথা! আতঙ্কে দিন-রাত কাঁটা, কেন জানেন?
তবে জেলা কোচবিহারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এই সাগরদিঘি। দীর্ঘ সময়ের ইতিহাসের নিদর্শন এই সাগরদিঘি। বর্তমান সময়ে সংস্কারের ও উন্নয়নের চাপে সাগরদিঘী চত্বরের ঐতিহাসিক নিদর্শন বিলীন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আগামী প্রজন্মের কাছে হেরিটেজ সাগরদিঘী কতটুকু অংশ উঠে আসবে তা এখন প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখে। যদিও নতুনভাবে সংস্কারের কাজগুলিকে বেশ অনেকটাই পছন্দ করছেন জেলার বাইরে থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।
Sarthak Pandit





