আরও পড়ুন: ৪৫০ বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে দেখুড়িয়া গ্রামে
সময় বদলায়, দেশ স্বাধীনতা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু চা মালিক এই ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব নেন। একসময় বাংলার বহু নামী কবি-সাহিত্যিক এই ক্লাবের দ্বিতলের অথিতি কক্ষে রাত্রি যাপনে করেন। তবে আজ এর সবটাই ইতিহাসের পাতায়। দুর্বল পরিচালনার কারণে ধুঁকছে জলপাইগুড়ি শহরের এই ব্রিটিশ স্থাপত্য। সরকার দ্বারা হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে ব্রিটিশদের তৈরি এই ভবনের এমন চেহারা হয়েছে যে তাকে এক শব্দে বলা যায় ‘ক্ষুধিতপাষাণ’।
advertisement
বিভিন্ন সময়ে জলপাইগুড়ির বিশিষ্টজনেরা সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায়। তবে নানান অদৃশ্য শক্তির কারণে সেই উদ্যোগ হারিয়ে যায় তিস্তা নদীর চোরা স্রোতে। অবশেষে ক্লাবটির বর্তমান পরিচালক মণ্ডলী ক্লাবটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগাতে হেরিটেজের তকমা সাঁটা প্রাচীণ ভবনটির অনেক কিছুই পরিবর্তন করে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার উদ্দেশ্যে ভাড়া দিতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির আন্তর্জাতিক শিল্পী নীহার মজুমদার বলেন, বর্তমানে ক্লাবটির যা অবস্থা এবং এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সহ জেলা প্রশাসনের ভাবলেশহীন মনোভাবের কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। তিনি এই ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী ভবনটি সংরক্ষণের আর্জি জানান।
সুরজিৎ দে