নিকট আত্মীয়রা দায়িত্ব নিতে চায়নি। সঙ্গ ছেড়েছে একমাত্র ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভা গিয়ে এই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, সুস্থ ছিলেন যখন, তখন একটি গ্যারেজে কাজ করতেন। কিন্তু এখন বয়সের ভারে অসহায় সুধীর কয়াল। বছর কয়েক আগেই মারা গিয়েছেন স্ত্রী। এখন বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর ঘোষপাড়ার বাড়িতে একাই থাকেন বৃদ্ধ।
advertisement
ছেলে-পুত্রবধূ রয়েছে বটে। কিন্তু তারা বৃদ্ধের সঙ্গে থাকেন না। তবে নিজের ছেলে নয়। পালিত পুত্র। মাস চারেক হল এই বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকছেন দু’জনে। অসহায় বৃদ্ধ একাই থাকছিলেন ঘোষপাড়ার বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবেশীরা প্রায় খাবার দাবার দিয়ে আসে। ছেলে-বৌমা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ভীষণ অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল। ঘরের মধ্যেই শৌচকর্ম করছিলেন। ঘরের ভিতরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।এমনকি খাওয়া-দাওয়াও ঠিকঠাক হত না।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলে রবি সাউ সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পর বাবার দেখভাল করার সময়টুকু পান না। বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান রয়েছে। দোকানে যখন কেউ কিছু কেনাকাটি করতে গেলে, তখন বৃদ্ধ খাবার চাইতেন। প্রতিবেশীরা অনেকেই বৃদ্ধকে খাওয়াতেন। কিন্তু ঘরের মধ্যে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বাড়িতে ঢুকতে পারতেন না কেউ।
বৃদ্ধের পুত্র রবি সাউ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “বাবাকে আমরাই দেখি। কাজের সুবিধার জন্য এখন অন্য জায়গায় থাকি। সকালে-রাতে বাবাকে খাবারও দিয়ে যাই। প্রতিবেশীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব বলেছেন।” এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভার উদ্যোগে বৃদ্ধ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বালুঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী