তীব্র দাবদহ উত্তরবঙ্গ জুড়ে। গরমের নাজেহাল প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হচ্ছে পড়ুয়ারা। চিন্তিত অবিভাবক থেকে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের দাবদহের প্রসঙ্গ তুলে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলি বিষয়ে ছুটি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। মিলেছে সাড়া, দুদিন স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: শহরের ধাঁচে এবার গ্রামেও ঘুরবে আবর্জনা তোলার গাড়ি! বাসিন্দাদের থেকে নেওয়া হবে এত টাকা
তবে তাতে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন না কেউ। তাপপ্রবাহের সময়টুকু সকালে স্কুল শুরু হলে ভাল হয় বলে মনে করছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। দাবদহের কারণে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে সকালের শিফটে চালানোর প্রস্তাব রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে পাঠিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের দাবদহ ইস্যু তুলে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল জানান, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি মত জেলায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি, ৩৭ ডিগ্রি উঠে যাচ্ছে। যা অনুভূত হচ্ছে যেন ৪১ ডিগ্রী থেকে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এই অবস্থায় বেশ কিছু স্কুলের শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। তাই বিষয়টি বিধানসভা নজরে এনে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বিশেষ ছুটি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সুমন কাঞ্জিলাল।
আলিপুরদুয়ারের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বর্ষা সোম জানান, “প্রচন্ড গরমে শিশুরা বেশি সময় ক্লাস করতে পারছে না। বারবার জল খেতে যাচ্ছে তারা, ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। মর্নিং শিফটে স্কুল চালানোর যে প্রস্তাব, তা হলে খুবই ভালই হয়।”
Annanya Dey