বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শালগ্রাম এফপি স্কুলের ঘটনা। জানা যায়, স্কুলের তিনজন শিক্ষকের পোস্টিং থাকলেও ৩১ শে জানুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষক একাই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকার মধ্যে একজন শিক্ষক পাশের একটি স্কুলে ডেপুটেশনে ট্রান্সফার নিয়েছেন। শিক্ষিকা যিনি রয়েছেন তিনি মেটারনিটি লিভে রয়েছেন। যার ফলে প্রধান শিক্ষককে একাই স্কুল চালাতে হচ্ছে। তার পক্ষে মিড ডে মিলের রান্না-সহ অন্যান্য সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে হাজির হয়, আর মিড-ডে মিল খেয়ে বাড়ি ফিরে আসে দেখে হতাশ অভিভাবকরা।
advertisement
আরও পড়ুন- নাওয়া খাওয়ার জলটুকুও মিলবে না! বালুরঘাটের বাসিন্দাদের জন্য আসছে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের দিন
গ্রামবাসীদের আশা ছিল, তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার আলোকে আনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেবে এই বিদ্যালয়। শুরুর পর থেকে নাকি সেটাই হচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের সব আশা ফিকে হতে শুরু করে। পড়াশুনার কোনও বালাই নেই।
পঠন পাঠনে এই স্কুলের পড়ুয়ারা অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের চাইতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পঠন-পাঠনেরও সমস্যা, কারণ একজন শিক্ষকের পক্ষে একটা স্কুল চালানো কার্যত অসম্ভব। নতুন শিক্ষকের দাবি জানিয়ে এবং সঠিকভাবে পঠন পাঠানোর দাবি জানিয়ে বালুরঘাট শালগ্রাম প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষককে তালা বন্ধ করে রাখছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, নতুন শিক্ষক দেবার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে প্রশাসনকে।
সুস্মিতা গোস্বামী