মূলত জামাইদের আদর করতে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় হাতের তৈরি একাধিক জিনিসপত্র। জামাইষষ্ঠীর পুজোতে এই হাতপাখা দিয়ে জামাইদের বাতাস করে থাকেন শ্বাশুড়ি মায়েরা। তালের পাশাপাশি বেতের তৈরি হাতপাখারও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। তাই জামাইষষ্ঠীর আগে বাঁশের বেত দিয়ে তৈরি হাতপাখা বানাতে ব্যস্ত হস্তশিল্পীরা। জামাইষষ্ঠীর আগে মালদহ জেলাজুড়ে কদর বেড়েছে এই বেতের তৈরি হাতপাখার। বাড়ির ছোট থেকে শুরু করে বয়স্করা সকলেই মিলে হাতপাখা বানাতে ব্যস্ত সারাদিন।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদার বাসিন্দাদের জন্য সুখবর, এয়ারপোর্টের আদলে সেজে আরও একটি স্টেশন, মিলবে এইসব সুবিধা
রঙিন আলতা মাখিয়ে সাজান হয় এই হাতপাখা। সারাদিনে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ হাতপাখা তৈরি করেন বাড়ির সকলে মিলে। বর্তমানে ব্যাপক চাহিদার ফলে সারাদিন এই কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় হস্তশিল্পীদের। হস্তশিল্পী দিপু ভগবত জানান, “মরসুম অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করতে হয়। এখন জামাইষষ্ঠী পুজো তাই হাতপাখা বানাতে হচ্ছে। পাইকারদের অর্ডার মত হাত পাখা বানাতে হয়। অর্ডার না থাকলে আবার অনেক সময় খালি বসে থাকতে হয়। বর্তমান প্রযুক্তির কারণে শুধু পুজোর ক্ষেত্রেই এই হাত পাখা ব্যবহার করা হয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমান আধুনিক যুগে বদলেছে একাধিক প্রযুক্তি। উন্নত হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। যার ফলে কদর কমেছে হাতের তৈরি জিনিসপত্রের। তবে এখন শুধু পুজোর সময় ব্যবহার হয় হাতের তৈরি জিনিসপত্র। তাই এই সময় কদর বাড়ে হস্তশিল্পীদের হাতে তৈরি হাতপাখার।
জিএম মোমিন