সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা রামসাই অঞ্চলের বহু পরিবারকেই গৃহহীন করেছে। আশিক ও বারখার বাড়িও সেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়। নিজের গ্রামে বিয়ের আয়োজন অসম্ভব হয়ে পড়ায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন প্রকৃতির মাঝেই, মহাকালের আশীর্বাদে সম্পন্ন হবে তাঁদের শুভ বিবাহ। বন্যার দুঃসময়ের মধ্যেও জীবনের প্রতি এই আশাবাদী পদক্ষেপ যেন গোটা এলাকায় এক নতুন বার্তা দিল ,সবকিছু ভেসে গেলেও ভালোবাসা ভেসে যায় না।
advertisement
মহাকাল মন্দিরের পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠান। মাটির গন্ধে ভরা বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয় শাঁখধ্বনি, গানের সুরে মিশে যায় জঙ্গলের পাখিদের ডাক। সিঁদুর দান, মালাবদল, আশীর্বাদ-সবই সম্পন্ন হয় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে, বনকর্মীদের উপস্থিতিতে। সন্ধ্যা নামতেই মন্দির প্রাঙ্গণ রঙিন আলোয় ভরে ওঠে, অতিথিদের মুখে হাসির ঝলক।
আশিক বলেন, “আমরা হার মানিনি। বন্যা আমাদের বাড়ি কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু ভালোবাসা কেড়ে নিতে পারেনি।” বারখার চোখে তখন সুখের অশ্রু, “জীবনের প্রতিটি লড়াইতে আমরা একসঙ্গে থাকব।” গরুমারার জঙ্গলে এই বিয়ে দুটি মানুষের বন্ধনের সাক্ষী তো বটেই, বরং প্রকৃতির মাঝে নতুন জীবনের এক প্রতীকও বটে! বন্যা হয়তো ক্ষতি করেছে অনেক, কিন্তু এই নবদম্পতি বুঝিয়ে দিল প্রকৃতি যতই পরীক্ষা নিক, ভালোবাসা তার উত্তর খুঁজে নেয় নিজের পথেই!