এবারই প্রথম দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসাথী প্রকল্পে যুক্ত করার আবেদন পত্র নেয় সরকার। সেইমতো কর্মসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করান মালদহের দুই লক্ষ আট হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। যা মুশিদাবাদ জেলার পর রাজ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক।
কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, করোনা কালে মালদহে যে সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকের যাতায়াত হয়েছিল, তার তুলনায় দুয়ারে সরকার শিবিরে অন্তত ৬১ হাজার নাম কম নথিভুক্ত হয়েছে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউই যাতে কর্মসাথী প্রকল্প বা সরকারি অ্যাপের বাইরে থেকে না যান এজন্য ফের নতুন অভিযান শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন জেনে নেওয়া যাক সরকারের নতুন পদক্ষেপে কিভাবে এর সুযোগ নিতে পারবেন বা উপকৃত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন, ‘মমতাদি-অভিষেক সব জানে, ৪ দিন অপেক্ষা করুন’, হাসপাতালের পথে বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়
আরও পড়ুন, এখনই গ্রেফতার নয় গৌতম পালকে… পর্ষদ সভাপতিকে রক্ষাকবচ দিল সুপ্রিম কোর্ট
মালদহ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শ্রম দপ্তরের কর্মী এবং বিভিন্ন গ্রামে সরকারি ভিআরপি বা ভিলেজ রিসোর্স পার্সনরা পরিযায়ী় শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। বাড়িতে পৌঁছে হাতে হাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের আধার কার্ড সহ অন্যান্য তথ্য যাচাই ও নথিভুক্ত করনের আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ হবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়িতে না থাকলেও তাঁদের পরিবারের নিকটজন বা সদস্যরা পরিচয় পত্র দিয়ে নাম নথিভুক্ত করনের আবেদন জানাতে পারবেন।
জানা গিয়েছে, সরকারি পোর্টালে নাম নথিভূক্ত হলে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দুই লক্ষ টাকা, শারীরিক অক্ষমতা জনিত পরিস্থিতিতে এক লক্ষ টাকা, স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা, কেউ মারা গেলে মৃতদেহ আনার জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধভাবে পরিবার। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, আরও অন্তত এক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে এই পোটালে নাম যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কর্মসাথী প্রকল্পে যুক্ত হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা উপকৃত হবেন।