স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বর্মন এবং স্বপ্না পাল জানান, বঙতি নদী একসময় তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিল। তবে ভাঙনের কারণে নদী বর্তমানে তাঁর বাড়ি থেকে হাত খানেক দূরত্বের মধ্যে চলে এসেছে। নদীর ভাঙন এতটাই হয়েছে গত দুই বছরে। তাঁদের বহু চাষের জমি আগেই নদীর মধ্যে চলে গিয়েছে। এবার বসত বাড়ি চলে যাওয়ার পালা। তবে দীর্ঘ সময় হয়ে গেলেও এই নদীর ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। বছরের অন্যান্য সময় এই নদীতে জল থাকে না বললেই চলে। তবে বর্ষার মরশুম এলেই নদী একেবারে আগ্রাসী রূপ নিয়ে নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে ক্ষতি চরমে পান চাষে! অস্বস্তির মুখে জেলার বহু পান চাষি, কী করবেন? বাড়ছে উদ্বেগ!
এই এলাকা দিয়ে নিত্য চলাচলকারী নিতাই দে জানান, “এলাকার বাচ্চারা স্কুলে যেতে এবং মানুষ চলাচল করতে যে রাস্তা ব্যবহার করে। সেই রাস্তার একাংশও নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আগামী দিনে হয়ত এই এলাকায় আর রাস্তা বলে কিছুই থাকবে না। সমস্যা আরও বেড়ে উঠবে।” এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সরকারিভাবে এখনও নদীর ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। খাপাইডাঙ্গা অঞ্চল প্রধান হলধর সরকার এবং বানেশ্বর অঞ্চল প্রধান শ্যামল ঘোষ এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে বর্তমান সময়ে স্থানীয় মানুষের একাংশ চরম বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ভাবে দ্রুত যদি এই নদীর পাড় বাঁধ সংস্কারের কাজ না করা হয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে আরও সমস্যা বাড়বে। তখন এলাকার মানুষের অনেকটাই বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হবে। তাই এলাকার মানুষেরা দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ দাবি জানাচ্ছেন এই নদীর ভাঙনকে কেন্দ্র করে।
Sarthak Pandit





