সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহের গয়না উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। অভিযোগ করেছেন মৃতা মন খুশি বাউলি (৬৫)-র পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার বুকে তীব্র ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় মন খুশি বাউলিকে ময়নাগুড়ি থানার মরিচবাড়ি গ্রাম থেকে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন আত্মীয়রা। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, তিনি আর নেই।
advertisement
সরকারি নিয়ম মেনে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের হেফাজতে রাখা হয়। মৃতার নাতনি পূর্ণিমা রায় জানান, “দিদার শরীরে তখন সোনার গয়না ছিল। চেন, কানের দুল ছিল। আমরা শোকে অসহায় ছিলাম, মাথায় আসেনি সেগুলো খুলে নেওয়ার কথা। রাতেই দিদার দেহ ওই ঘরেই রেখে দেওয়া হয়। আজ সকালে যখন দেহ নিতে এলাম, দেখি সব অলংকার গায়েব।”
ঘটনা বুঝতে পেরে পরিবার সরাসরি থানায় অভিযোগ করতে যায়। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের ভিতরে মৃতদেহের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। পরিবারের ক্ষোভ, “সরকারি হাসপাতালে যদি মৃতদেহও সুরক্ষিত না থাকে, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?”
আরও পড়ুন- ঠান্ডা পড়লেও সবজির বাজার আগুন! দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে কবে?
হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা-সহ প্রয়োজনীয় তদন্ত চালানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে নিরাপত্তা ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পরিবারের দাবি, গয়না উদ্ধার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি!






