ঘটনার রাতে ওই নাইটক্লাবেই কর্মরত ছিলেন সুভাষ। বিস্ফোরণের খবর বাড়িতে পৌঁছনো মাত্র ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা টঙ্কা মায়া ছেত্রী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, ছোট থেকেই সংসারের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছিল সুভাষ। তাই এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: বেকারদের জন্য সুখবর! রামকৃষ্ণ মিশনে মাত্র ৩ মাসের কোর্সে চাকরির সুযোগ, জানুন
advertisement
অপরদিকে, সুভাষের দিদি ঊর্মিলা ছেত্রী জানিয়েছেন, প্রথমে টিভির মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছে সুভাষের। ভগ্নকণ্ঠে তিনি বলেন, “মায়ের একমাত্র ভরসা ছিল ভাই। এখন আমরা কীভাবে সামলাবো কিছুই বুঝতে পারছি না।”
আরও পড়ুন: মুকুটমণিপুরে ভূত? আসল গল্প জানতে পারবেন বড়দিনে, কী ঘটছে জানলে হা হবেন!
ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ঊর্মিলা। তাঁর অভিযোগ, যে নাইট ক্লাবে সুভাষ কাজ করত সেখানে ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। নিরাপত্তার বড়সড় গাফিলতিই এই বিপর্যয়ের কারণ বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও জানান, ক্লাব কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব ও গাফিলতিই এত বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
পরিবারের তরফে সরকারের কাছে অনুরোধ, ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও সহায়তাও চেয়েছেন তাঁরা। বাগডোগরার তরুণ সুভাষের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।






