এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় সার্বিক পরিকল্পনা না করলে এই পরিস্থিতির বিশেষ একটা উন্নতি হবে না। কিন্তু গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না এর জন্য চাই জাতীয় স্তরের একটি মাস্টার প্ল্যান তাই এই বাজেটের দিকে অনেক আশা করে তাকিয়ে ছিলেন মালদহের ভাঙন বিপর্যস্ত বাসিন্দারা। তারা ভেবেছিলেন ভাঙ্গন মোকাবিলায় হয়তো বাজেটের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং অর্থ বরাদ্দ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু পরিকল্পনা তো দুরস্ত গঙ্গার ভাঙ্গন মোকাবিলায় একটিও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি বাংলার জন্য!
advertisement
আরও পড়ুন: হার মানাবে যাদু সম্রাটকেও! নদীর উপর দিয়ে হেঁটেই পারাপার
২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের সাধারণ বাজেটে বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, সিকিম সহ একাধিক রাজ্যের বন্যা ও ভাঙন ঠেকানোর জন্য আর্থিক বরাদ্দের বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু বাংলার মুর্শিদাবাদ ও মালদহের মত দুটি ভাঙন বিধ্বস্ত জেলার জন্য বিন্দুমাত্র আর্থিক বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি সকলকেই বিস্মিত করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এমন ভূমিকায় রীতিমতো হতাশ এখানকার বাসিন্দারা। ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা শ্যাম মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর গঙ্গার ভাঙন নিয়ে আমরা আতঙ্কিত থাকি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কিছুই দেওয়া হল না আমাদের। আমরা আতঙ্কিত।
মালদহের এই গঙ্গা নদীর এক প্রান্তে রয়েছে ঝাড়খন্ড, অপর প্রান্ত রয়েছে বিহার। সেইসব রাজ্য ভাঙন ও বন্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা পেলেও বাদ গেল পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা। বাজেট পেশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের এমন ভূমিকা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, যে সমস্ত রাজ্যে কম বন্যা, ভাঙন হচ্ছে সেখানে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে মালদহকে বঞ্চিত করা হলো।
মালদহের রতুয়া-১, মানিকচক, কালিয়াচক-২ ও ৩ নম্বর ব্লক ভাঙন কবলিত। প্রতিবছর এই অঞ্চলের গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে ব্যাপক হারে ভাঙন হয়। বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গা গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, মালদহে গঙ্গা ভাঙনের জন্য সেচ দফতর আছে। সেই দফতরের মন্ত্রী আছেন। ভাঙন বা বন্যার জন্য যে রাজ্যে যেমন প্রয়োজন সরকার তেমনভাবে অর্থ বরাদ্দ করছে।
হরষিত সিংহ