ভাঙন কবলিত এলাকার প্রতিবাদী ছাত্রদের অভিযোগ, ভুতনিতে প্রতিবছরই ভাঙন এবং বন্যা হয়। কোটি কোটি টাকায় নতুন রিং বাঁধ তৈরি করা হলেও কোনরকম স্থায়ী সমাধান হয়না। বর্তমানে ভাঙন রোধের কাজ হলেও তা খুব নিম্নমানের করা হয়। বালির বস্তা দিয়ে কোনওমতেই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তাদের দাবি পাথরের বোল্ডার দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ করা হোক। এই বিষয়ে মালদহ দক্ষিণের লোকসভা সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী জানান, গঙ্গা ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয়।
advertisement
আরও পড়ুন : পাহাড়ের চারিদিকে শুধুই ধ্বংসের ছবি! বৃষ্টি কমবে কবে? ধীরে ধীরে স্বস্তির ইঙ্গিত দিল IMD, জানুন মেগা আপডেট
তিনি আরও বলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের অধীনে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট মাত্র ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার ভাঙন রোধের জন্য এখনও প্রায় ১২০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের তহবিলে পড়ে রয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার উভয় মিলে চাইলে গঙ্গা ভাঙন রোধ করা সম্ভব। ছাত্রদের আন্দোলন তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা এর সমর্থন জানাচ্ছি। লোকসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে আবার আবেদন জানাবো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফি বছরই মানিকচক, কালিয়াচক, ইংরেজবাজার, রতুয়া ইত্যাদি ব্লক এলাকায় ব্যাপকভাবে ভাঙন লক্ষ্য করা যায়। তবে মানিকচকের ভুতনি এলাকার ভাঙ্গন ও বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্য হার মানাবে যেকোনওরকম ভয়াবহ বিপর্যয়কে। লাগাতার গত কয়েক বছর ধরে মাসের পর মাস বন্যা এবং ভাঙনে অতিষ্ঠ হয়ে ঘরছাড়া মানুষজন আজও দিশেহারা হয়ে তাকিয়ে স্থায়ী সমাধানের দিকে।