ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চলে চামুণ্ডাকালী-সহ বিভিন্ন দেবদেবীর নৃত্য। যা দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। এই বছর প্রথম নয়, প্রতি বছর এই রীতি পালিত হয়ে আসছে পুরাতন মালদহ শহরে। গম্ভীরা শিল্পী পার্থ বসাক বলেন, ‘‘বাপ ঠাকুরদার কাছে এই নৃত্য শিখেছি। সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য আমরা এই মুখোশনাচ করে থাকি। বর্তমান প্রজন্মকে শেখানোর চেষ্টা করছি।’’
advertisement
এদিন ছিল পুরাতন মালদহের গম্ভীরার ছোট তামাশা। প্রাচীন রীতি মেনে আজও ছোট তামাশা উপলক্ষে পুরাতন মালদহের চামুণ্ডা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন দেবদেবীর নৃত্য দেখা যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন দেবদেবীর মুখোশ পরে নাচ করতে দেখা যায় গম্ভীরা শিল্পীদের। এদিন দিনভর চলবে পুরাতন মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট তামশার মুখোশ নৃত্য।
আরও পড়ুন : সকালে ঘুম থেকে উঠে সহজ কিছু নিয়ম মানুন! গরমেও কমবে হাই ব্লাড প্রেশার! দূরে থাকবে হার্টের অসুখ
মালদহের প্রাচীন ঐতিহ্য গম্ভীরা। পুরাতন মালদহের সব্বরী এলাকায় প্রায় ৩০০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই গম্ভীরা উৎসব। এখানে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় গম্ভীরা। প্রথম দিন ঘট ভরা, দ্বিতীয় দিন কাটা নৃত্য, তৃতীয় দিন ছোট তামশা, চতুর্থ দিন বড় তামশা। মন্দিরের পুরোহিত বাবাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই গম্ভীরা উৎসব হয়ে আসছে। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় গম্ভীরা উৎসব। মা চামুণ্ডা কালীর পুজো হয়। বহু ভক্ত এখানে আছেন মনস্কামনা করেন। মনস্কামনা পূরণ হলে বিভিন্ন রীতি রেওয়াজ রয়েছে।’’