এলাকায় এক স্থানীয় বাসিন্দা রতন মাঝি জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় নদী পারাপারের স্থায়ী সেতু না থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। সেতু নির্মাণের জন্য বারংবার প্রশাসনিক কর্তাদের জানানো হলেও তাঁদের কোনও উদ্যোগ নেই। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই ভাবে কষ্ট করে চলাফেরা করতে হচ্ছে।” আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাম্পি বর্মন জানান, “যদি এখানের সেতু পুনরায় শুরু হয় তবে দুই পাশের মানুষের অনেকটাই উপকার হবে এটুকু নিশ্চিত। নাহলে বেশ অনেকটা রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে দু’পাশের মানুষকে। এতে সময় বেশি লাগছে, খাটনিও হচ্ছে অনেকটা বেশি।”
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন বছরের পিকনিক হয়ে উঠবে আরও জমজমাট! যা তৈরি হল মানসাই নদীর ধারে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নদী পারাপারের ঘাটের কর্মী প্রদীপ অধিকারী জানান, “বর্তমান সময়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল চলছে এই এলাকায়। তবে নদীর সেতু যদি তৈরি করা সম্ভব হয়, তবে অনেকটাই সুবিধা হবে স্থানীয়দের। বিভিন্ন সময় সরকারি আধিকারিকেরা পরিদর্শনে এলেও কাজ হয়নি কিছুই। তাই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জমছে বর্তমানে।” যদিও এই বিষয় নিয়ে মাঝে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বর্তমানে তা থমকে রয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, “এই সেতু নির্মাণের কাজের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের বিষয়টি সম্ভব হবে।”
যদিও বর্তমান সময় নদীর দুই পাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা অনেকটাই ক্ষুব্ধ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময় ধরে এই সেতু নির্মাণ নিয়ে যেভাবে টানাপোড়েন চলছে। সেই কারণে স্থানীয় মানুষেরা বিক্ষোভ কিংবা পথ অবরোধ করার চিন্তাভাবনাও করছেন। যদিও এই এলাকায় অস্থায়ী নদী পারাপার চলে শুধুমাত্র শীতের এবং গরমের সময়ে। বর্ষা আসলেই এই অস্থায়ী নদী পারাপার বন্ধ হয়ে পড়ে।
Sarthak Pandit





