দীর্ঘদিন ধরে তিনি বই লিখে চলেছেন। শিশু শ্রেণী থেকে বিএসসি পর্যন্ত তিনি অঙ্কের বই লিখেছেন। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য সিলেবাস মেনেই তিনি বই লিখেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫টি বই লিখেছেন তিনি। সবগুলি অঙ্কের বই। তবে মিহির বাবুর লেখা বই আপনি কোনও দোকানে কিনতে পাবেন না। শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত বই মেলাতেই পাবেন।
advertisement
প্রাক্তন শিক্ষক মিহির সমাজদার বলেন, ”সকলেই আমাকে অঙ্কের দাদু বলে চেনেন। আমার বয়সও হয়েছে, তাই হয়তো সকলে দাদু বলে ডাকেন এটা আমার খুব ভাল লাগে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য বই লিখে চলেছি। আমি নিজেই বইমেলাগুলিতে গিয়ে এই বই বিক্রি করি।”
বর্তমানে গোটা বছর মিহির বাবু বই লেখালেখি করেন। বইমেলার সিজনে তিনি নিজে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত বইমেলাগুলিতে ঘুরে ঘুরে স্টল দিয়ে বই বিক্রি করেন। বর্তমানে এটি তাঁর নেশা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তার বইয়ের কদর রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি এই বইগুলি বিক্রি করছেন। বর্তমানে চাহিদা ব্যাপক হারে। তাঁর বই লেখার চিন্তাভাবনা আসার কারণ?
আরও পড়ুন: স্বামী রণবীরের জন্যেই ব্যাগে সূঁচ নিয়ে ঘোরেন দীপিকা! দাম্পত্যে এমন হাল হল কেন নায়িকার
মিহির বাবু একজন অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। সে সময় ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। অঙ্কের বিষয়ে অনেকেরই নানা সমস্যা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তখন থেকেই সহজ সরল ভাষায় বই লেখার চিন্তাভাবনা। অবসর নেওয়ার পর থেকেই শুরু করেন এই বই লেখার কাজ। এখনও তিনি লিখেই চলেছেন এই বই। স্কুলস্তর বা কলেজ স্তরের সিলেবাস পরিবর্তন হয়। সিলেবাস পরিবর্তন হলে তিনিও তার বইয়ের পরিবর্তন করেন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য। অবসরের পরে ছাত্রছাত্রীদের এমন সহজ সরল বই উপহার দেওয়ার জন্যই এখন তিনি রাজ্যজুড়ে অঙ্কের দাদু নামে খ্যাত।
হরষিত সিংহ