আরও পড়ুন: এই মেলার উপর যেন কৃপা করেছেন মা লক্ষ্মী! কেন জানেন?
বর্তমানে ডুয়ার্সের জলদাপাড়া, চিলাপাতা, কোদালবস্তি এলাকায় দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের ভিড়। পর্যটন ব্যবসায়ীরাই বলছেন, কোভিড পরিস্থিতির পর অবশেষে দিন ফিরেছে। সত্যজিৎ রায় নামে ডুয়ার্সের এক পর্যটন ব্যবসায়ী জানান, এমনিতেই বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ থাকে। সেসময় ব্যবসা বসে যায়। বাকি সময়গুলোতে পর্যটন ভরপুর থাকলে আমাদের মন ভাল থাকে। কিন্তু কোভিডের সময় থেকে ভিড় হচ্ছিল না। অবশেষে সেই খরা কেটেছে। পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখে আমরা সকলে খুশি।
advertisement
জানা যায় গতবছর অক্টোবর থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ডুয়ার্সের চিলাপাতা, জলদাপাড়া ভ্রমণে এসেছেন। কোদালবস্তিতেও রয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। এর কারণ হিসেবে ডুয়ার্সের ট্যুর গাইডদের দাবি, জলদাপাড়ায় এলেই একশৃঙ্গ গণ্ডার, হাতি, বাইসন, চিতাবাঘের মত নানান বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া একরকম নিশ্চিত। জঙ্গলের রাস্তায় হাতি ও বাইসনের দল ঘুরে বেড়ায়। তারই আকর্ষণে আসছেন পর্যটকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
চিলাপাতার জঙ্গল শান্ত ও স্নিগ্ধ। নলরাজার গড়ের সন্ধান রয়েছে এই জঙ্গলে। কোদালবস্তির সিসি লাইন দিয়ে সাফারি হয়। আর এই সকল পর্যটনস্থল থেকে পর্যটকেরা প্রতিবেশী দেশ ভুটানের ফুন্টশোলিং শহর, বক্সা, জয়ন্তী সহ অন্যান্য পর্যটনেকন্দ্রও সহজেই ঘুরে আসতে পারেন। অন্যদিকে, পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় মুখে হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও।পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায়, গতবছর থেকে এখনও পর্যন্ত শুধু এ রাজ্য বা দেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকেও প্রচুর সংখ্যক পর্যটকেরা এসেছেন। ডুয়ার্সের পর্যটনস্থলগুলির জনপ্রিয়তা দিনদিন কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই থেকে তা স্পষ্ট। এভাবেই চলতে থাকলে তাঁদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এছাড়া পর্যটন ব্যবসার প্রসার ঘটলে অনেকে কর্মসংস্থানও পাবেন, তাঁদের কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে হবে না।
চিলাপাতা, জলদাপাড়ায় রাভাদের সাংস্কৃতিক নৃত্য দেখতে পারেন পর্যটকেরা। তাঁদের পোশাক, খাবার সম্পর্কে অবগত হন। এই জঙ্গলগুলির রহস্যের হাতছানি সকলের জন্য বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
অনন্যা দে