আরও পড়ুন: ভাই-বোনের ভিক্ষার সংসারেও নজর! সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার
রাজাভাতখাওয়া থেকে আলিপুরদুয়ারগামী এই রাস্তাটি বক্সা ফিডার রোড নামে পরিচিত। ৩ কিমি দীর্ঘ রাস্তাটির দু’পাশে আছে ঘন জঙ্গল। এমনিতে এই রাস্তায় ২০ কিমি গতিবেগের বেশি স্পিড তোলার কথা নয় যানবাহনের। যদিও ৩০ কিমি গতিবেগ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। এর বেশি গতিবেগ হলেই সমস্যা দেখা দেয়। গাড়ির গতিতে মৃত্যু হয়েছে কেউটে সাপের’ও।
advertisement
এবারে বন্যপ্রাণের মৃত্যু ঠেকাতে একত্রিত হয়েছে স্পোর ও বন দফতর। নজর রাখা হবে গাড়ির গতিতে।গাড়ির গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হল ৪০ কিমি। বনকর্মীরা থাকবেন টহলে। দ্রুতগতিতে কোনও গাড়ি এলেই সেই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নজরদারি।
বক্সা ফিডার রোডের দু’পাশে রয়েছে জঙ্গল ও বনবস্তি। এই জঙ্গলে বসবাস ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে শুরু করে সরীসৃপ ও বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীর।জঙ্গলের রাস্তা পার করার জন্য খুব দ্রুতগতিতে গাড়ি ও বাইক ছোটান চালকেরা। যা বেশিরভাগ সময় প্রাণ কেড়ে নেয় বন্য প্রাণীদের। এই প্রাণীদের রক্ষা করা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্পোরের সদস্যরা। অরিন্দম ঘটক নামে এক সদস্য জানিয়েছেন, ছোট হোক আর বড়, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ জরুরি। এইভাবে তারা গতির বলি হলে পরিবেশের ভারসাম্য থাকবে না।তারজন্য বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগ আমরা যৌথভাবে নিয়েছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বনাধিকারিক তপন কুমার মজুমদার জানান, মানুষ ও বন্যপ্রাণের সংঘাত রুখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যার কারণেই এই কর্মসূচি। গাড়ির চালকদের দাঁড় করিয়ে বোঝানো হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের বিষয়ে। রাস্তায় বন্যপ্রাণী দেখলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তারপর যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে সবাইকে। কারণ এই রাস্তাটি বণ্যপ্রাণীরা পারাপারের জন্য ব্যবহার করে।
অনন্যা দে