গবেষণা বলছে, মৌমাছির গুঞ্জন ও কামড় থেকে হাতিরা দূরে থাকতে চায়। সেই প্রাকৃতিক ভয়কে কাজে লাগিয়ে হাতিকে জঙ্গলেই আটকে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর। তাই হাতির উপদ্রব রুখে জীবিকাযর সহায়তায় ডুয়ার্সে বনদফতরের অভিনব প্রকল্প। ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিগুলিতে বছরভর হাতির উপদ্রব নতুন কিছু নয়। ফসলের ক্ষতি, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, রাতভর আতঙ্ক—এই চিরচেনা দুর্ভোগের এবার এক নতুন সমাধান খুঁজে পেল রাজ্য বনদফতর।
advertisement
লাটাগুড়ি রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত এবং জলপাইগুড়ির ডিএফও বিকাশ ভির পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে এক অভিনব “মৌমাছি প্রতিপালন প্রকল্প”। যেখানে হাতির স্বভাবকেই হাতিয়ার করছে বনদফতর। এই প্রকল্পে লাটাগুড়ি রেঞ্জের ৬টি জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘এলিফ্যান্ট সেফ সোসাইটি’ নামে একটি পরিবেশবান্ধব এনজিও। স্থানীয় বাসিন্দারা এখন শিখছেন মৌমাছি পালন, মৌচাক তৈরি ও মধু সংগ্রহ।
বনদফতরের প্রতিশ্রুতি—এই মধু স্থানীয় বাজারে বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে, যাতে বনবাসীরা পান বিকল্প আয়ের পথ। এই দুই দিক—প্রাকৃতিক উপায়ে হাতির উপদ্রব রোধ এবং জীবিকার বিকল্প—দুটিকেই একসঙ্গে মিলিয়ে প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক হলেও সফল হলে এই প্রকল্প ছড়িয়ে পড়বে গোটা ডুয়ার্সে। পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তার মিলিত পদক্ষেপে বনদফতরের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে পরিবেশবিদ মহলে। হয়তো এইবার জঙ্গলপারের রাতগুলো একটু শান্তিতে কাটবে!
সুরজিৎ দে





