উল্লেখ্য, পুজো শুরু হতে আর মাত্র কিছুদিন। তার আগেই বোনাস হয়ে গিয়েছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে। তবে তারপরেও বাড়তি বোনাস রয়েছে সেখানকার মানুষদের জন্য। ক্রমশ সেখানে আসতে শুরু করেছে বিদেশি পর্যটকরা। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে টোটো চড়েই তাদের ভিড় বাড়ছে চা বাগান সংলগ্ন বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটগুলিতে।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে কাজের বিরাট সুযোগ, মাসে পারিশ্রমিক ৩২,০০০ টাকা, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করুন
advertisement
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে লাটাগুড়ি থেকে চালসা হয়ে মেটেলি পর্যন্ত। মেটেলি থানার অন্তর্গত চালসার মঙ্গলবাড়ি হাটে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেখা মিলল টোটো চড়ে লাটাগুড়ি থেকে জঙ্গল পথের আনন্দ উপভোগ করতে আসা দুই বিদেশি পর্যটককে।
ই-রিক্সায় বসেই পেশাগত দিক থেকে অধ্যাপক দুই বিদেশি পর্যটককের মুখে ভুয়সী প্রশংসা শোনা গেল স্থানীয়দের। অধ্যাপক স্তেফিনা হাতে ধরা পাটের তৈরি ব্যাগ দেখিয়ে বলেন, “এটা এখান থেকেই কিনেছি। খুব সুন্দর, ঘুরতে গিয়ে কয়েকটি বন্য প্রাণীও দেখেছি, তবে সব থেকে ভাল লাগছে স্থানীয়দের আন্তরিকতা।”
স্তেফিনার কথায় সুর মিলিয়েই রিক্সায় বসা আরেক অস্ট্রেলিয়ার অপর অধ্যাপক বলেন, “মূলত আমরা সংক্রামক রোগের গাণিতিক মডেলিং বিষয়ক চারদিনের দুটো কনফারেন্সে যোগ দিতে এসেছি, যার একটি কলকাতা এবং অপরটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। তার মাঝে এই ডুয়ার্স ভ্রমণ খুবই ভাল লাগছে। এখনকার মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ আমরা। সব মিলিয়ে ভিনদেশের নাগরিকদের মুখে উত্তরবঙ্গবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা বেজায় গর্বের।
সুরজিৎ দে