ভুতনি দ্বীপে প্রতি বর্ষায় বন্যা হওয়াটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারেও প্লাবিত হয়েছে ভুতনি থানার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত সবকটি গ্রাম। জলের তলায় কয়েক হাজার বাড়ি সহ এলাকার স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন ও যান চলাচল। এর জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে ভুতনি দ্বীপের লক্ষাধিক মানুষ। এমনকি এই পরিস্থিতিতে নৌকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়েছেন ভুতনি থানার বাসিন্দারা। লাইফ জ্যাকেট না থাকায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মরেও শান্তি নেই! শেষ যাত্রাতেও গায়ে ব্যথা হওয়ার জোগাড়
প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই নিত্য দিন যাতায়াত করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। প্রশাসনের তরফেও কোনরকম নৌকা ও যাত্রী সুরক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এমন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নৌকায় করে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
এই অবস্থায় ভুতনির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের তরফে বলা হলেও যাত্রী সুরক্ষার জন্য কোনরকম নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি। ভূতনিবাসীরা নিজের অর্থ খরচ করেই যাতায়াত করছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফি বছরই প্রায় তিন মাস ধরে গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর জলে প্লাবিত হয়ে থাকে মানিকচক ব্লকের ভুতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত। সমস্যার সুরাহা বের করতে বাঁধ নির্মাণ হলেও হয়না স্থায়ী সমাধান। প্রতিবছরই নদীর জলাস্তর বেড়ে ভেঙে যায় বাঁধ। এমন অবস্থায় প্লাবিত হওয়ার পরও ভূতনিবাসীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পারাপারে বিষয়টি ভাবাচ্ছে সকলকে।