জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ৬ টি গ্রামে এখন খাবার খাওয়াটাই যেন যুদ্ধ। মাছির এমন উপদ্রব আগে দেখেননি কেউ। চাঁদেশ্বর, বাগানপাড়া সহ আশেপাশের গ্রামগুলোতেও একই অবস্থা। বাড়ির উঠোন থেকে রান্নাঘর, খাট থেকে থালাবাটি— সব জায়গায় মাছির দাপট। স্থানীয়রা বলছেন, কয়েক মাস আগে একটি পোল্ট্রির ডিম উৎপাদন কেন্দ্র খোলা হয় এলাকায়। তার পর থেকেই মাছির উৎপাত শুরু। বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও ফার্ম কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
advertisement
আরও পড়ুন: চলন্ত গরুর গাড়িতে গগনচুম্বীতে ঝুলে চরকি পাক খায় গাজন ভক্তরা , জানেন কোন গ্ৰামে
একেই ফার্মের দুর্গন্ধ, তার ওপর মাছির জ্বালা— বাচ্চা থেকে বয়স্ক, কেউই রেহাই পাচ্ছে না বলেই, ক্ষোভ উগরে দিলেন এক বাসিন্দা। সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য— মাছির জন্যে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ায় ইতিমধ্যেই অন্তত ১৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, মাছির মাধ্যমে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, এমনকি কলেরার মতো রোগ ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বন্ধ হয়েছে রফতানি! সমস্যায় পূর্ব বর্ধমানের লিচু চাষিরা
প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক ড. অরিন্দম ঘোষ জানালেন, “মুসকা ডোমেস্টিকা জাতীয় মাছির এই বেপরোয়া বিস্তার একেবারেই অস্বাভাবিক। এরা সহজেই জীবাণু ছড়াতে পারে, যা বড় বিপদের ইঙ্গিত।” অভিযোগ-উপেক্ষার মধ্যে দিন কাটছে গ্রামের মানুষের। এখন প্রশ্ন— কে নেবে দায়? প্রশাসন কি জেগে উঠবে, নাকি মাছির সঙ্গে বসবাস করাই ভবিতব্য এই গ্রামবাসীদের?





