জলপাইগুড়ি শহর ঘেঁষা গোশালা মোড়ের কাছে রুকরুকা নদীর ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক ঐতিহ্যমণ্ডিত তান্ত্রিক শক্তিপীঠ! দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখানেই একসময় পুজো দিতেন বিদ্রোহিনী দেবী চৌধুরানী নিজে। ইতিহাস, লোককথা ও তন্ত্রসাধনার মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এই মন্দির ঘিরে রয়েছে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি পুরনো এক ঐতিহ্য। মন্দিরে পূজিত মা কালী এখানে পরিচিত ‘দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী’ নামে। দেবীর এক হাতে থাকে সুরার বাটি, আরেক হাতে মুণ্ড, যা তান্ত্রিক শক্তির প্রতীক। এখানে তান্ত্রিক মতেই মায়ের পুজো হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘার ঝাউবনে পড়ে ঢিবির মতো ওটা কী…! কাছে যেতেই চমকে উঠল পর্যটকরা, আতঙ্কে কাঁটা সৈকত শহর
মন্দির ঘিরে রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন বটগাছ ও প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো রুদ্রাক্ষ গাছ। যা এই স্থানকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী জানালেন, “মা কালী এখানে কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্র নন, তিনি জলপাইগুড়ির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এ বছর পুজো হবে সোমবার রাত সাড়ে ন’টা থেকে।” প্রতি বছর কালীপুজোয় ভক্তদের ঢল নামে। দেবীমূর্তিটি কষ্টিপাথরের তৈরি। এখানে ১৫১ মালসা ভোগ দেওয়া হয়। বিশেষ এবং প্রধান ভোগ হয় তিস্তার শোল ও বোয়াল মাছ। পাশাপাশি ভক্তদের জন্য রান্না হয় এক কুইন্টাল চালের ভোগ। বিশেষ ভোগ কুপনের আবেদন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
মাত্র ১৫১ টাকায় পাওয়া যাবে সেই ভোগ কুপন। আশপাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন মায়ের দর্শনে। বিশ্বাস, ভক্তি আর ইতিহাসের অনন্য সংমিশ্রণেই জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির আজও অটুট শক্তিপীঠের প্রতীক!