মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে গোটা দোকান আগুনে ভস্মীভূত হতে শুরু করে। দোকানের ভিতর থাকা পেইন্ট, থিনার, কেমিক্যাল ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থের কারণে আগুনের তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে দোকান, তার আঁচ লাগে পাশের দোকানগুলিতেও।
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া এবং শিলিগুড়ি থেকে তিনটি দমকলের ইঞ্জিন। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও একটি ইঞ্জিন আসে আগুন নেভাতে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আংশিক নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তবে তখনও ভিতরের অংশ জ্বলছিল।
ট্রেনে উঠতেন, ঘুমিয়ে পড়তেন, যখন নামতেন তখন ‘ধনী’ এই যাত্রী! GRP ধরতেই ফাঁস বিশেষ কৌশল!
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকের দাবি, লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন নেভানোর সময় রাস্তা ঘিরে বিশাল ভিড় জমে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট-সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকান্ড। তবে দমকল আধিকারিকরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন। এই ঘটনায় বাগডোগরা অঞ্চলে নিরাপত্তা ও আগুন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দোকানগুলিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না বলেই জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। ফলে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দোকানমালিক ও স্থানীয়দের দাবি, এলাকার সমস্ত দোকানে যেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়। নাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
