এলাকার যুবক সহ অন্যান্য মানুষদের কৃষিকাজে উৎসাহ প্রদান করতে কৃষি দফতরের তরফে কালচিনি ব্লকে শুরু হয়েছে খামার বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে একপ্রকার প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় থাকছে এলাকারই কোনও এক অভিজ্ঞ কৃষক। পাশাপাশি, থাকছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরাও। এলাকার ২৫ জনকে চাষের পদ্ধতি থেকে শুরু করে চারা রোপণ সব কিছুই হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে এই বিদ্যালয়ে। বক্সার জঙ্গল ঘেরা কালকূট বস্তিতে শেখানো হল মিলেটের চারা রোপণ।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার বুকে একটুকরো ‘ভেনিস’! জলযন্ত্রণার ভয়ঙ্কর চিত্র, দেখুন কীভাবে কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কৃষকদের সঙ্গে সেই চারা রোপণ করেন আলিপুরদুয়ার মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা রজত চট্টোপাধ্যায় ও কালচিনি ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা প্রবোধ কুমার মন্ডল। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে কৃষিকাজ মুখী করতে এই খামার বিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনা বলে কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়। প্রায় চারদিন চলে এই খামার বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ। এই ব্লকে চলছে মিলেট জাতীয় শস্য রাগী চাষ, কালো নুনিয়া ধানের চাষ। শুধু চাষ সম্পর্কে জানানো হয় না। কোনও অনুর্বর জমিকে চাষের উপযোগী কীভাবে করে তোলা যায় সেই বিষয়েও পড়ানো হয়। যেমন কালকুট বস্তির জমি পতিত পড়েছিল। এই এলাকার নতুন প্রজন্মের কৃষকরা খামার বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এই জমিকে চাষের উপযোগী করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কালচিনি ব্লকে বর্তমানে দুটো খামার বিদ্যালয় রয়েছে। একটি লতাবাড়ির বিশ্বনাথ পাড়ায় ও অপরটি কালকূট বস্তিতে। এক জায়গায় ধান চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, অপর স্থানে মিলেট নিয়ে। এর মাধ্যমে আরও মানুষ কৃষিকাজে এগিয়ে আসবে এমনটাই আশা করছি।”
Annanya Dey