এটি চাষ করতে খরচ হয় এক বিঘা জমিতে প্রায় ২০,০০০ টাকার মত। তবে লাভ পাওয়া যায় দ্বিগুনের থেকেও বেশি পরিমাণ। মাথাভাঙা মহকুমা এলাকার এক কৃষক জেলার বাইরে থেকে এই কচুর প্রজাতি এনে চাষ করছেন। কৃষক অখিল কুমার সরকার জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। বেশ অনেকটা সময় তিনি জেলার বাইরে ছিলেন। দক্ষিণবঙ্গে তিনি এই বিশেষ কচুর চাষ দেখেছিলেন। সেখানে থেকেই তিনি কচু চাষের ধারণা পান। তারপর তিনি বীজ নিয়ে এসে জেলায় এই কচু চাষের শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই কচু চাষে লাভ পেয়েছেন অনেকটাই। ফলে তিনি এই চাষ প্রতিবছর করে থাকছেন অনেকটা সময় ধরে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার রাস্তা! দেখলে চিনতেই পারবেন না!
চাষি অখিল কুমার সরকার আরও জানান, এই চাষ তিনি করেছেন আট শতক জমিতে। সেক্ষেত্রে তাঁর খরচ হয়েছে ৫০০০ টাকা। তাই এই চাষ যদি কেউ এক বিঘা জমিতে করে, তবে সেই কৃষকের খরচ হবে ২০,০০০ টাকার মত। তবে এই চাষে লাভ পাওয়া সম্ভব দ্বিগুণের বেশি। তবে এই কচু কর্দমাক্ত জমিতে চাষ করা ভাল। আর জমি প্রস্তুত করার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে জমিতে। এই চাষে দুটি রোগ পোকার আক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়। একটি হল ল্যাদাপোকা আরেকটি হল লাল মাকড়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলার এক কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “চাষ আবাদ শুরু করার আগে অবশ্যই এলাকার চাহিদা বুঝে নিতে হবে। এছাড়া কৃষি দফতরের সহায়তা নেওয়া উচিত। তবেই যেকোন কৃষক অধিক লাভ পাবেন সহজেই।” এছাড়া এই কচু চাষ অন্য চাষের চাইতে সহজেই করা যায়। তাই বহু কৃষক এই চাষ করতে বর্তমানে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
Sarthak Pandit





