আরও পড়ুন: জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সাঁকো! নদী পারাপার নিয়ে বিপাকে বহু মানুষ
দিনহাটা মহকুমা এলাকার এক কৃষক মহম্মদ সৈয়দুল হক জানান, প্রতিবছর তিনি এই চাষ করেন। তবে এই মাছি বেশ অনেকটাই ক্ষতি করে চাষের খেতে। তাই প্রতিবছর বেশ কিছু টাকা ক্ষতি হয় এই চাষে। তবে এক্ষেত্রে এতদিন তাঁরা কিট নাশক ব্যবহার করতে। যা ফসলের ও চাষের ভাল পোকাকে নষ্ট করে দেয়।” কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের শস্য সুরক্ষা বিজ্ঞানী সুরজ সরকার জানান, “এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ফেরোমন ট্র্যাপ বা ফাঁদ একটি দারুণ কার্যকর জিনিস। এই ফাঁদ ব্যবহারে সমস্যা কম হয়। এবং কাজও হয় অনেকটাই বেশি সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৭টি ফাঁদ লাগাতে হয়। মূলত ফুল থেকে ফল তৈরি হওয়ার সময় এই ট্র্যাপ বা ফাঁদ লাগানো উচিত। এতে পুরুষ মাছি ফাঁদে আর্কষণ হয়। এবং ফাঁদে ঢোকা মাত্রই মৃত্যু হয় মাছির। ফলে এই মাছের উপদ্রব কমে অনেকটাই। এই ফাঁদে মেয়ে মাছির এক ধরনের বিশেষ গন্ধ ব্যবহার করা হয়। যাতে আকর্ষণ হয় পুরুষ মাছিরা। বাজারে এই ধরনের ফাঁদ তৈরি অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়। ফলে কৃষকেরা খুব সহজেই এই ফাঁদ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া খরচ হয় সামান্য।”
বর্তমানে পদ্ধতি বহু কৃষক ব্যবহার করছেন। এতে তাঁরা লাভও পাচ্ছেন অনেকটাই। যদিও বহু কৃষক এই ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করেন না এখনোও। তাই তাঁদের এই ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করার পরামর্শ প্রতিনিয়ত দেওয়া হয় কৃষি বিজ্ঞানীদের দ্বারা। এতে কৃষক স্বল্প খরচে বেশি পরিমাণ লাভ দেখতে পারবেন। এবং চাষের ক্ষেত্রে সমস্যাও অনেকটাই কম হবে।





