এই ফুল ঘর সাজানোর কাজ থেকে শুরু করে পুজোর কাজে লাগে। বর্তমান সময়ে এই ফুল চাষ করে আর্থিক লাভের মুখ দেখছেন কোচবিহার জেলার এক চাষি। এটি চাষ করতে ব্যয় হয় খুবই কম। তবে লাভ পাওয়া যায় অনেকটাই বেশি। তাই কৃষকদের জন্য এই ফুল চাষ করা অত্যন্ত লাভদায়ক।
আরও পড়ুন: বাড়িতে শৌচাগার আছে? দরজায় কড়া নেড়ে জিজ্ঞাসা করছেন জেলাশাসক!
advertisement
কোচবিহার জেলার গাঁদা ফুল চাষি পিন্টু বর্মন জানান, “এই ফুল চাষ করতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এছাড়াও খাটনি ও খরচ দুটোই হয় অন্যান্য চাষের থেকে অনেকটাই কম। তবে এই ফুলের রোগব্যাধি দেখতে পাওয়া যায়। তাই কৃষকদের এই রোগব্যাধির সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। এই গাঁদা ফুল গাছের ধ্বসা রোগ দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগ হলে ফুলের গোঁড়া গুলি পচে যায়। তাই এই ফুল গাছের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করতে হবে। তা হলেই এই গাছের রোগের থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়াও ফুল ফুটবে বেশ ভাল পরিমাণে।”
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের একমাত্র সূর্য মন্দির রয়েছে শিলিগুড়িতে! দেখুন ভিডিও
তিনি আরও জানান, গাঁদা কোচবিহারের বিভিন্ন দোকান গুলিতে পাইকারি সরবরাহ করেন। পাইকারি কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করেন। আবার এই ফুল খুচরও বিক্রি করে থাকেন তিনি। তখন মালা বানিয়ে এক একটি মালা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হয়। তবে এই ফুল চাষের ক্ষেত্রেই কৃষি দফতরের সহায়তা নেওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। নাহলে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কীটনাশক এবং সার ব্যবহার করতে পারবেন না কৃষকেরা। তবে অন্যান্য চাষে ব্যবহার করা সার এই চাষেও ব্যবহার করা যায়। বিশেষ বেগুন চাষের ব্যবহার করা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এই চাষে। কৃষকরা এই রোগ গুলোর উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে পারলে অধিক মুনাফা পাবেন।
Sarthak Pandit