এবং তাঁর এই বারোভাজা পছন্দ করে থাকেন বহু মানুষ। তিনি এইভাবে বারোভাজা বিক্রি করার মাধ্যমে বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের দিশা দেখাচ্ছেন নতুন করে। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকের বিকল্প আয় বেছে নিয়ে জেলায় থেকে কাজ করেন।
advertisement
বারোভাজা বিক্রেতা গৌতম রায় জানান, একটা সময় তিনি ভিন রাজ্যে বিল্ডিং নির্মাণ কাজে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তাই এই কাজে ঝুঁকি থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই তিনি পরিবারের কথা ভেবে এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাড়িতে ফিরে আসেন।
তারপর থেকেই তিনি বারোভাজার দোকান দেন। এতে আর্থিক রোজগার ভালই হয়। ছোট থেকে বড় সকলেই এই বারোভাজা খেতে দারুণ পছন্দ করে থাকেন। তাই তিনি ছোটদের জন্য ৫ টাকা আর বড়দের জন্য ১০ টাকা দিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন বারোভাজা।
এক বারোভাজা ক্রেতা দীপা বর্মন জানান, ‘‘দুই থেকে তিন মাস ধরে এই দোকান নিয়ে ভাজা বিক্রি করেন গৌতম। তার বারোভাজা খুব সুস্বাদু ও মুখরোচক, তাই বহু মানুষ কিনে থাকেন। স্বল্প দামে বেশ অনেকটা পরিমাণে বারোভাজা তিনি দিয়ে থাকেন সকলকে।’’
ছোট বাচ্চারা ও স্কুল পড়ুয়ার তাঁর অপেক্ষায় থাকেন। গৌতমের সাইকেল দেখলেই খুশি হয়ে ওঠে সকলে।’’এভাবেই তিনি বারোভাজা বিক্রি করে সকলকে আনন্দ দিক এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার বহু মানুষের।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা বেশ অনেকটাই বেড়েছে রাজ্যে এবং জেলায়। সেই জায়গায় এই ব্যক্তির এইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ ছেড়ে এসে বারোভাজা বিক্রি করেই আর্থিক উপার্জন করা অনেকে পরিযায়ী শ্রমিককে প্রভাবিত করেছে। তাঁর কাজ দেখে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ ছেড়ে বাড়িতে ফিরে এসে কৃষি কাজ ও অন্যান্য ব্যবসা শুরু করেছেন।
Sarthak Pandit