জাল নিয়োগ পত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দিয়েছিল মহম্মদ মহসিন। বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ তারিখে কাজের যোগদান করে সে। সাত থেকে আট মাস ওই স্কুলে শিক্ষকতা করে এক মাসের বেতনও তোলে। এরপর ওই ব্যক্তির সমস্ত ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের সময় 'জাল' নিয়োগ ও নথির বিষয়টি ধরে ফেলে স্কুল শিক্ষা দফতর। যথারীতি তার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেয় সে।
advertisement
২০১৯ সালে হাইকোর্টে মামলা করে বেতন না পাওয়ার জন্য। তার দাবি ছিল কাজ করেও বেতন মেলেনি। ফলে বকেয়া বেতন নিশ্চিত করতে হবে। এই মামলায় হাইকোর্ট স্থানীয় থানার কাছে তার তথ্যের ভেরিফিকেশন চায়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই হাইকোর্টে খারিজ হয় মামলা।
শুধু তাই নয়, মিথ্যে মামলা করায় আদালতের নির্দেশে ১ মাসের পাওয়া বেতন ১৭, ২৭৬ টাকা সরকারকে ফেরত দিতে বলা হয়। পাশাপাশি ওই ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে ভুয়ো শিক্ষক মহম্মদ মহসিনকে গ্ৰেফতার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
ধৃত মহম্মদ মহসিন পুলিশকে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মোথাবাড়ি থানার এক রাজনৈতিক দলের নেতাকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে শিক্ষকের নিয়োগ পত্র হাতে পেয়েছিল সে। যে নেতার নামে তিনি অভিযোগ তুলেছেন, তার বিষয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ নম্বর ব্লকের তৎকালীন স্কুল ইনচার্জের ভূমিকাও।
আরও পড়ুন, ইংরেজ রাজ পরিবারে লঙ্কাকাণ্ড! ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারি, উইলিয়ামের বিরুদ্ধে হ্যারির অভিযোগ
আরও পড়ুন, আরও ২৪ ঘণ্টা তুষারপাত, বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথায়? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বদলের ইঙ্গিত
বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলাউদ্দিন বলেন, ভুয়ো শিক্ষক বা জাল নিয়োগ পত্রের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমাদের কাছে সেই সময় যা কাগজ এসেছিল, আমরা তা পাঠিয়ে ছিলাম। ভেরিফিকেশন করার অধিকার আমাদের নেই। সমস্ত নির্দেশই আদালত আর প্রশাসনের।
