স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার এলাকাজুড়ে রাজ্য সড়কের অংশ ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বাঁকুড়া–দুর্গাপুরের মতো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত রাস্তায় এই পরিস্থিতি যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ভারী যানবাহনের পাশাপাশি প্রচুর প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তায়। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় চালকদের চরম সমস্যায় পড়তে হয় মঙ্গলবার সকালে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুরে উপচে পড়বে মাছ, শুধু শিখে নিন এই ছোট্ট টেকনিক! সফল চাষের গোপন ফর্মুলা ফাঁস করলেন অভিজ্ঞরা
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ বাঁকুড়া জেলার সভাপতি জয়দেব চন্দ্র বলেন, “শীতকালে এমনিতেই একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। ঘরে ঘরে ইনহেলার, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে। বড়জোড়ার মতো শিল্পাঞ্চল এলাকায় ফুসফুসজনিত রোগ প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায়। শীতকালের ভারী কণার সঙ্গে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, “এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রাস্তার নিরাপত্তা। ধোঁয়ায় রাস্তা ঢেকে গেলে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। জনসংখ্যা বাড়ছে, রাস্তাঘাট উন্নত হলেও সেই অনুপাতে রাস্তার সংখ্যা বাড়ছে না। ফলে লাগামছাড়া যানজট তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে ধোঁয়া যোগ হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।” জয়দেব চন্দ্র জানান, পাতা ঝরার মরশুম শেষ হওয়ার পর বাঁকুড়া জেলায় জঙ্গলে আগুন লাগার প্রবণতা শুরু হয়। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে লাগা এই আগুন ধ্বংস করছে বন্যপ্রাণ ও বনসম্পদ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষ, প্রশাসন এবং বন দফতর, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে বন দফতরের আরও তৎপর ভূমিকার দাবি উঠেছে।





