শিলিগুড়ি থানার অভিযানে ধরা পড়েছে নয় অভিযুক্ত, যাদের অধিকাংশই বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা কয়েক মাস আগে পাটনা থেকে শিলিগুড়ি এসে ভাড়া নেয় একটি বাড়ি, এবং সেখানেই গড়ে তোলে তাদের কারখানা, যেখানে তৈরি হতো নামিদামি কোম্পানির নকল শ্যাম্পু। পুলিশ সূত্রে খবর, ভেতরে পাওয়া গিয়েছে বিপুল পরিমাণ ভুয়ো শ্যাম্পু, প্যাকেজিং মেশিন, নামী কোম্পানির বোতল ও ছাপা নকল লেবেল। বোঝাই যাচ্ছে, শুধু কারখানা নয়, এর পিছনে ছিল একটি রীতিমতো সুসংগঠিত কৌশল। চক্রের নেপথ্যে ছিলেন এক ব্যক্তি, জাহাঙ্গীর খান, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা।
advertisement
পুলিশের অনুমান, এটি শুধু একটি লোকাল চক্র নয়, বরং একটি বৃহৎ আন্তঃরাজ্য প্রতারণা নেটওয়ার্ক, যার শিকড় ছড়ানো রয়েছে উত্তরবঙ্গজুড়ে। এই ভুয়ো পণ্য শুধু শিলিগুড়ি শহরেই নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারেও ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ কীভাবে না জেনে এই নকল পণ্য ব্যবহার করে এসেছেন, তা ভাবিয়ে তুলছে প্রশাসনকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। চক্রটি কতদিন ধরে সক্রিয়, কোথা থেকে কাঁচামাল আসত, সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা খুঁজে বের করাই এখন মূল লক্ষ্য। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ভুয়ো প্রসাধন পণ্য যে জনস্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে, তা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই অভিযান।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য