বর্তমান প্রজন্ম প্রায় ভুলতে বসেছে বিদ্যাসাগরের অবদান। তাইতো তাঁকে স্মরণীয় রাখতে এমন পরিকল্পনা মালদহের পেশায় গ্রন্থাগারিক সুবির কুমার সাহার।
শুধুমাত্র দেশলাই কাঠি দিয়ে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি তৈরি নয়, পাশাপাশি তিনি ‘ব’ দিয়ে লিখেছেন একটি কবিতা। এই কবিতায় ব্যবহৃত পঁচানব্বই শতাংশ শব্দই ‘ব’ দিয়ে শুরু হয়েছে। এই কবিতার মধ্যে দিয়ে বিদ্যাসাগরের জন্ম থেকে কর্মজীবন সমস্ত কিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: সেমিনার রুমেই নাকি অন্য কোথাও নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন? জায়গা ধরে ফেলল সিবিআই? বড় মোড়
শিল্পী তথা গ্রন্থাগারিক সুবীর কুমার সাহা বলেন, ‘‘নবজাগরণের সূচনা করেছিলেন বিদ্যাসাগর। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাঁর অবদানকে তুলে ধরতেই এমন উদ্যোগ। দেশলাই কাঠি দিয়ে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি তৈরি করেছি। এছাড়াও ‘ব’ অক্ষর দিয়ে বিদ্যাসাগরের জীবনী লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছি।’’
বাংলা নবজাগরণের সূচনা করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এই বছর তার ২০৪ তম জন্ম দিবস। এই জন্ম দিবসকে সামনে রেখেই সুবীর বাবুর এমন প্রয়াস। সকলের মনের মধ্যে যেন এখনও বিদ্যাসাগর বিরাজমান হয়ে থাকেন। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই তিনি দেশলাই কাঠি দিয়ে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন।
প্রায় ৩০ টি দেশলাই বাক্স লেগেছে এটি তৈরি করতে। দেশলাই কাঠি-সহ বারুদ ও দেশলাই বাক্স দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিকৃতিটি। তাই এক সপ্তাহ ধরে তিনি ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন চিত্রকলা। বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস উপলক্ষে তিনি তুলে ধরছেন তাঁর তৈরি প্রতিকৃতিটি। সমাজের মধ্যে বার্তা দিতে চাইছেন শুধুমাত্র জন্ম দিবসে বিদ্যাসাগরের গলায় মাল্যদান নয়, তার শিল্পকলা সৃষ্টি সমস্ত কিছুকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে।
হরষিত সিংহ