ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের টন্ডু ও বামনডাঙা চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই গজরাজের দল ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার জেরে ডায়নার ও গরুমারা জঙ্গলের বহু বন্যপ্রাণী আশ্রয়ের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে। ত্রাণ শিবিরে রাখা চাল-ডালের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাতির দল বারবার গ্রামে প্রবেশ করছে।
advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও নাথুয়ার জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ে। তাড়াতে গেলে বনকর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। পরে গরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বনকর্মীরা হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে ডিএফও বলেন, ‘বন্যার জেরে জঙ্গলের পশুরা বেশি করে বাইরে বেরিয়ে আসছে। গোটা জেলায় ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। টন্ডু ও বামনডাঙা এলাকায় চারটি টিম মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয়দেরও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে হাতি তাড়ানোর কাজে যুক্ত করা হয়েছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দা মণীশ টিগ্গা ও রাজেশ ওরাওঁ জানান, ‘ত্রাণের চাল-ডালের গন্ধেই হাতির দল আসে। আমরা বনদফতরের সঙ্গে মিলে রাতভর পাহারা দিচ্ছি। আগে বিদ্যুৎ না থাকায় ভয় বেশি ছিল, এখন কিছুটা আলো এসেছে, তাই আতঙ্কও কিছুটা কমেছে’। বন্যার পর এই জনপদে এখন মানুষের পাশাপাশি হাতিরাও আশ্রয় খুঁজছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে বন্যপ্রাণীর হানা। ডুয়ার্সের গ্রামগুলোতে এখন রাত মানেই আতঙ্ক ও নিদ্রাহীনতা।