TRENDING:

রাত হলেই চালের গন্ধে বাড়ে তাদের আনাগোনা! বন্যার পর নতুন আতঙ্ক ডুয়ার্সে, উড়েছে শান্তির ঘুম! রাতভর পাহারা

Last Updated:

Elephant Scare in Dooars: একদিকে ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ির চা-বাগান ও গ্রামাঞ্চল। অন্যদিকে রাত নামলেই ধেয়ে আসছে নতুন বিপদ, হাতির হামলা। ত্রাণ শিবিরে রাখা চাল-ডালের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাতির দল বারবার ঢুকে পড়ছে গ্রামে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জলপাইগুড়ি, সুরজিৎ দে: রাত হলেই চালের গন্ধে বাড়ে তাদের আনাগোনা। ভয়ে নিদ্রাহীন রাত কাটছে এলাকাবাসীদের। ত্রাণের চালই বাড়াচ্ছে নাগরাকাটাবাসীদের বিপদ। বন্যায় বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় এ এক নতুন আতঙ্ক। গ্রামে গ্রামে হাতির হানা। প্রাণ ভয়ে রাত জাগছে মানুষ। একদিকে ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড চা-বাগান ও গ্রামাঞ্চল, অন্যদিকে রাত নামলেই ধেয়ে আসছে নতুন বিপদ, হাতির হামলা।
advertisement

ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের টন্ডু ও বামনডাঙা চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই গজরাজের দল ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার জেরে ডায়নার ও গরুমারা জঙ্গলের বহু বন্যপ্রাণী আশ্রয়ের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে। ত্রাণ শিবিরে রাখা চাল-ডালের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাতির দল বারবার গ্রামে প্রবেশ করছে।

আরও পড়ুনঃ ফুটবল দল নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা! উঠল নানা প্রসঙ্গ, এরপরেই সাংঘাতিক কাণ্ড! ফালাকাটায় চরম নৃশংসতা

advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও নাথুয়ার জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ে। তাড়াতে গেলে বনকর্মীদের দিকে তেড়ে আসে। পরে গরুমারার ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বনকর্মীরা হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন।

View More

এ বিষয়ে ডিএফও বলেন, ‘বন্যার জেরে জঙ্গলের পশুরা বেশি করে বাইরে বেরিয়ে আসছে। গোটা জেলায় ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে। টন্ডু ও বামনডাঙা এলাকায় চারটি টিম মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয়দেরও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে হাতি তাড়ানোর কাজে যুক্ত করা হয়েছে’।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপাবলি শুধু উৎসব নয়, এইসব পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে ভরসা দীপাবলিও! জানুন কীভাবে
আরও দেখুন

স্থানীয় বাসিন্দা মণীশ টিগ্গা ও রাজেশ ওরাওঁ জানান, ‘ত্রাণের চাল-ডালের গন্ধেই হাতির দল আসে। আমরা বনদফতরের সঙ্গে মিলে রাতভর পাহারা দিচ্ছি। আগে বিদ্যুৎ না থাকায় ভয় বেশি ছিল, এখন কিছুটা আলো এসেছে, তাই আতঙ্কও কিছুটা কমেছে’। বন্যার পর এই জনপদে এখন মানুষের পাশাপাশি হাতিরাও আশ্রয় খুঁজছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে বন্যপ্রাণীর হানা। ডুয়ার্সের গ্রামগুলোতে এখন রাত মানেই আতঙ্ক ও নিদ্রাহীনতা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
রাত হলেই চালের গন্ধে বাড়ে তাদের আনাগোনা! বন্যার পর নতুন আতঙ্ক ডুয়ার্সে, উড়েছে শান্তির ঘুম! রাতভর পাহারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল