সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আশায় রেল চালকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমজনতা। ঠিক কী ঘটেছিল? বিকেল ঠিক ৪টে বেজে ৫৭ মিনিটে ১৫৪৮৪ আপ সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস যখন চালসা থেকে নাগরাকাটা স্টেশনের দিকে ছুটে আসছে, ঠিক সেই সময় রেললাইনে আচমকা দেখা দেয় এক বিশাল হাতি। ঘটনাস্থল ছিল কিমি ৬৯/৮-৯ এর মধ্যে। লোকো পাইলট শ্রী এ.কে. মিশ্র এবং সহকারী লোকো পাইলট এস.জি. মহান্তা তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে দ্রুত ব্রেক কষে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মুহূর্তের সেই সিদ্ধান্তই বাঁচিয়ে দিল প্রাণ। না হলে যাত্রীবাহী ওই ট্রেনে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন যাত্রীরা।
advertisement
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্ষার মরশুমে হাতির দল প্রায়ই চা বাগান ও জঙ্গল থেকে লোকালয়ে নেমে আসে। বিশেষ করে চালসা–নাগরাকাটা রেলপথ বরাবর হাতি চলাচল নতুন কিছু নয়। রেলও এই এলাকায় একাধিকবার সচেতনতা প্রচার চালিয়েছে। তবুও ঝুঁকি থেকেই যায়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রী ও হাতি উভয়ের নিরাপত্তাকেই সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নিয়মিত টহল ও সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে চালকদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনা প্রমাণ করল, সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতা থাকলে বড়সড় বিপদকেও এড়ানো সম্ভব। যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, ট্রেন হঠাৎ ধীর গতিতে থেমে যাওয়ায় প্রথমে আতঙ্ক তৈরি হলেও পরে কারণ জেনে স্বস্তি পান সবাই। এক যাত্রী বলেন, “আমাদের প্রাণ এবং গজরাজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন চালকরা। তাঁদের দ্রুত সিদ্ধান্ত না থাকলে আজ বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” ডুয়ার্সের সবুজ বনভূমি যেমন সুন্দর, তেমনই এ অঞ্চলে হাতি-রেল সংঘর্ষের শঙ্কাও নিত্যসঙ্গী। তবে এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল – এক মুহূর্তের সজাগতা কতটা জীবনরক্ষী হয়ে উঠতে পারে!