আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল প্রধানকে খুনের হুমকি, অভিযোগ মানতে নারাজ কংগ্রেস
ভুটানে সাধারণত দুই দফায় ভোট হয়ে থাকে। প্রথম দফায় ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেয়। যে দুই দল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে তাঁরা পার্লামেন্টের ৪৭টি আসনে প্রার্থী দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। ২০০৭ সাল থেকে ভুটানে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দুটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভুটানে বর্তমান জনসংখ্যা ৮ লক্ষ। এরমধ্যে পাঁচ লক্ষ ভোটার রয়েছে। নির্বাচনী এলাকা ৪৭ টি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল চারটি। প্রার্থী সংখ্যা ১২৭ জন। ভুটানের পার্লামেন্টে দুটি কক্ষ রয়েছে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষের নাম ন্যাশনাল কাউন্সিল, নিম্নকক্ষের নাম জাতীয় পরিষদ। এই নির্বাচন অনেকটা ভারতীয় ধাঁচের। ভারতে লোকসভা নির্বাচন হয়। সেটি ভুটানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচন।
advertisement
জিগমে খেসার নামগেইল ওয়াংচুক বর্তমানে ভুটানের রাজা। ভুটানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়েছে বর্তমানে। মন্ত্রীদের একটি কাউন্সিল রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনা করে। সরকার ও জাতীয় সংসদ উভয়ের হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমান রাজার অভিষেক হওয়ার পর তিনি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের ভাবনা আনেন।
২০০৮ ও ২০১৩,২০১৮ সালে তারপর ভোট হয়। প্রথম দফায় ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেয়। যে দুই দল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পায়, তাঁরা পার্লামেন্টের ৪৭টি আসনে প্রার্থী দেয় এবং তখন দ্বিতীয় দফা ভোট হয়। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এই ভোটে অংশগ্রহণ করে। এই দলে বেশি থাকেন ভারতীয় বংশদ্ভুতরা। তবে, প্রথম দুবারের নির্বাচনে প্রথম স্থান পেলেও ২০১৮ সালে তৃতীয় স্থানে চলে আসে দলটি। ড্রুক নিয়ামরুপ শোগপা দলটির বেশি প্রাধান্য রয়েছে ভুটানে। যুব সমাজ এই দলটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এমনকী বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এই দলের সদস্য।এবারে দেখার পালা দ্বিতীয়বার তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন কি না।
Annanya Dey