পাশের ধান ভাঙানোর দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক যন্ত্রপাতি সহ ধান ও গমের মজুত।সাত সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ধোঁয়ার গন্ধ পান এবং দেখেন দোকানের দিক থেকে আগুন বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী দোকানদার বংশী মন্ডলকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের লোকজন জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ।
advertisement
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে স্থানীয়দের নিরন্তর চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মুদিখানার দোকানদার বংশী মন্ডল জানিয়েছেন, তাঁর দোকানে নতুন করে ডিম ও খাদ্যসামগ্রী এনে মজুত করা হয়েছিল। আগুনে সেগুলি একেবারে পুড়ে যায়। শুধু ডিমেরই ক্ষতি প্রায় হাজারখানেক, যার বাজারমূল্য কয়েক হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর ক্ষতি মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা ছুঁতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধান ভাঙানোর দোকানের মালিক রঞ্জিত বাছারও প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত।
তাঁর দোকানে থাকা ভাঙানোর যন্ত্র, মজুত গম ও ধানও আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি জানান, “এই দোকানটাই ছিল আমার পরিবারের একমাত্র আয়। এখন সব শেষ। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব বুঝতে পারছি না।” আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
Julfikar Molla