এই ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প সিদ্ধান্তের পর ডাঙ্গি ফরেস্ট পরিদর্শনে আসেন বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে তৎকালীন মন্ত্রী। তৎকালীন জেলা শাসকের মাধ্যমেই মঞ্জুর করানো হয় এই প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। কিন্তু তারপরেও প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় এই কাজ শুরু করতে পারেনি বন দফতর।
আরও পড়ুনঃ আজ ফের ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব, কোন কোন জেলা তোলপাড় হবে? জানুন সর্বশেষ পূর্বাভাস
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, বনাঞ্চলটি উন্মুক্ত থাকার ফলে চোরা কারবারিরা গাছ কেটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। প্রকল্প হিসেবে ডাঙ্গি বনভূমির চরে সবুজায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সৌন্দর্যয়ণের রূপে গড়ে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। পিকনিক স্পটের পাশাপাশি বনভূমির ভেতর দিয়ে রাস্তা, বসার জায়গা, শিশুদের একাধিক খেলার পরিবেশ গড়ে তোলা-সহ পাখি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীকে সংরক্ষনের ব্যবস্থাও করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপদ! যে কোনও সময় ফাঁসতে পারেন আপনিও, বেঁচে ফিরে কি জানালেন যুবতী?
এক কথায় বলা যেতে পারে বাচ্চা কিংবা বয়স্ক সব ধরনের বয়সী মানুষদের জন্য একাধিক মনোরঞ্জনের জায়গা তৈরি ব্যবস্থা করা হবে। ডাঙ্গি বনভূমির মধ্য দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদীর শাখাটিকে সংস্কার করে তার দু-দিকে ঘাট করে নৌকা পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে। জেলায় ধরা পরা বিভিন্ন বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক অ্যাকুয়ারিয়ম-সহ নানাবিধ প্রাকৃতিক বিষয় তুলে ধরা হবে প্রকল্পে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ডাঙ্গি ফরেস্ট নিয়ে ইকো ট্যুরিজম তৈরি করবার লক্ষে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি হলে গ্রামীন এলাকার সামাজিক ও অর্থনীতির যথেষ্ট পরিবর্তন হবে বলে মনে করেছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তা কবে পুরোদস্তুর চালু হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
সুস্মিতা গোস্বামী