এই গ্রামের নাম পূর্ব কাঁঠালবাড়ি। ভোট আসে ভোট যায়। মেলে শুধু নেতাদের গাল ভরা আশ্বাস। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। আলিপুরদুয়ার ১ নং ব্লকের পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে জ্বলন্ত সমস্যা বাঁশের সাঁকো। গোটা অঞ্চলে মোট ১৩ টি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। যা কিনা প্রত্যেক বছর দুর্গা পুজোর আগেই পূর্ব- কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মায়ের সঙ্গে তুমি এমনটা করতে পারলে…!’বাবাকে চরম ‘শাস্তি’ ছেলের! শিউরে উঠল ফাঁসিদেওয়া
নির্মাণ করতে খরচ হয় প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। কিন্তু বর্ষা শুরুর আগেই ফের ভেঙে যায় সাঁকো গুলি। স্থানীয়রা পাকা সেতুর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে । স্থানীয়দের কথায়, ভোটের আগে নেতাদের দেখা পাওয়া যায় , তখন এসে আশ্বাস দেন পাকা সেতু হবে কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে আর তাদের দেখা মেলে না।গ্রামের বাসিন্দা কল্যাণী রায়,সন্তোষ বর্মনরা জানান, “দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে যাতায়াত। পলাশবাড়ি বাজারের উত্তরপ্রান্তে সঞ্জয় নদীর উপর বাঁশের সাকো রয়েছে। এই রাস্তা ধরে ফালাকাটা পৌঁছানো সহজ। কিন্তু, এই সাঁকো ভেঙে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা হারিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিখ্যাত করোনেশন ব্রিজ? ভাইরাল ভয়ঙ্কর ভিডিও, জানুন আসলে কী ঘটেছে
“শুধু ফালাকাটার সঙ্গে যোগাযোগ নয়, পলাশবাড়িতে রয়েছে একটি সাপ্তাহিক বাজার পাশাপাশি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয় সহ শিলবাড়িহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।সাঁকোগুলি ভেঙে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য এমনকি রুজি রুটি সব ক্ষেত্রেই পলাশবাড়ি বাজার আসতে হয় সাধারণ মানুষকে।সাঁকোর পরিস্থিতি এখন থেকেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভারি বৃষ্টি হলেই তা ভেঙে পড়বে।পাকা সেতুর অভাবে এখনই জীবনের ঝুকি নিয়েই পারাপার করেন পড়ুয়া সহ সাধারণ মানুষ বলেগ্রামবাসীদের অভিযোগ।
অন্যদিকে উত্তর মেজবিলের ১৩/ ২৫২ নম্বর বুথের বাঁশের সাঁকো, যা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন সাধারণ মানুষ। বর্ষাকালে সেতুর অভাবে প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার ঘুরপথে ফালাকাটা পৌঁছাতে হয় উত্তর মেজবিল বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা স্তর বিভিন্ন জায়গায় সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন বলে জানান প্রধান সুপর্ণা বর্মন।তিনি জানান, ” আমিও এই গ্রামের বাসিন্দা । এই গ্রামের পাকা সেতু নেই। চলাচল করতে কতটা অসুবিধা হয় তা আমারও জানা রয়েছে আমি আবার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাব। “





