পুজোর কটা দিন মণ্ডপে দেবী দুর্গার ভোগ হিসেবে থাকে পাঁচ রকমের মিষ্টি যেমন পান্তুয়া, কানসাট, রসগোল্লা, লালমোহন, রসকদম্ব এবং সন্দেশ। এছাড়াও থাকে লুচি, সুজি। পুজোর উদ্যোক্তা শম্ভুনাথ রায় বলেন, প্রাচীন রীতি মেনে আজও গ্রামের প্রত্যেকেই নিরামিষ খায়। মহালয়ার পর থেকে দশমী পর্যন্ত নিরামিষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে গ্রামে। মা খুব জাগ্রত। পুজো উপলক্ষে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয় গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার শিশু ‘এই’ পজিশনে বসছে না তো…? দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হন! জানুন বিশেষজ্ঞের মত
পুজোর জন্য গ্রামের সবাই নিরামিষ আহার করেন। মণ্ডপ প্রাঙ্গনে কোনও রকম আমিষের ছোঁয়া থাকে না। পুজোটি অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে হয়। অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার ধুম পড়ে যায়। পুজোকে ঘিরে মেলা বসে। সেখানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। গাজোলের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। গ্রামের সকলে মিলে পুজোর আয়োজন করে থাকেন।
এই পুজোর সূচনা ঘিরে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে টাঙ্গন নদীতে মায়ের কাঠামো ভেসে ওঠে। সেই কাঠামো সংরক্ষণ করা হয় গ্রামে। পরে স্বপ্নাদেশে মায়ের পুজো শুরু হয়। এখন কমিটি গড়ে পুজো করা হয়। এখানে দেবী মাতা খুব জাগ্রত। পুজোতে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারাও মায়ের দর্শনের জন্য আসেন।
হরষিত সিংহ