তাই দুর্গপুজোর আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করতে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন। ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত ইউনেস্কো-র স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে দুর্গাপুজো।
advertisement
আরও পড়ুন: মিলছে না পেনশন, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বৃদ্ধ চায়ের দোকান খুললেন 'শিল্পশ্রী'!
দুর্গপুজোর আদলে তৈরি করা হয় বেশ কয়েকটি ট্যাবলো, ৫০টি ঢাকের আওয়াজ, শঙ্খ ধ্বনি উলুধ্বনি ও আদিবাসী নৃত্যের সাথে সোমবার এই শোভাযাত্রাটি শিলিগুড়ির বাঘা যতীন ময়দানের সামনে থেকে শুরু হয়। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ শিলিগুড়ি পুরনিগমের অন্তর্গত সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো উৎসাহের সাথে যোগ দেয় এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়।
আরও পড়ুন: রাজ আমলের দুর্গাপুজো দেখতে চান? কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির সেরা ঠিকানা
এদিন এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বাঘাযতীন ময়দান-এর সামনে থেকে শুরু হয়ে হাসমি চক হয়ে শিলিগুড়ির বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মূল উদ্দেশ্য সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো।তার যে প্রস্তুতি মা আসছে।সেই অঙ্গীকারে বদ্ধ হয়ে ঢাক, শঙ্খ, উলুধ্বনি বাজিয়ে শিলিগুড়িতে শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করা হয়। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐকান্ত প্রচেষ্টায় আজ বিশ্বের দরবারে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গো পূজা। সারা পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি আমরা শিলিগুড়িবাসীও বর্ণ ধর্ম দলমত নির্বিশেষে আমরা ভীষণ গর্বিত।
অনির্বাণ রায়