এদিনের বৈঠকে পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর ‘পুজো বন্ধু’ নামে এক নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন। প্রতিটি পুজো কমিটি থেকে ১০ জন করে ভলেন্টিয়ার বেছে নেওয়া হবে। তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যেই পুজো কমিটিগুলিকে এই নামের তালিকা পুলিশ প্রশাসনের হাতে জমা দিতে হবে। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য থাকবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল শেখানো, সাধারণ মানুষের সঙ্গে শালীন ব্যবহার বজায় রাখা, অগ্নি নির্বাপণ সহ অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থার ব্যবহার শেখানো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘায় বড় আয়োজন, ভিনরাজ্য থেকে ছুটে এলেন অনেকে! সৈকত শহরে কী এমন হল?
পুলিশ কমিশনার জানান, প্রায়ই দেখা যায় পুজো মণ্ডপে ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের অপ্রয়োজনীয় বচসা হচ্ছে। তাই এই বছর থেকেই ভলেন্টিয়ারদের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে ‘পুজো বন্ধু’। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁরা শুধু প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে না, সাধারণ মানুষও তাঁদের মধ্যে পাবে সহায়ক এক বন্ধুর ভূমিকা।
এদিন বৈঠকে আরও একটি বড় ঘোষণা হয়। এই বছর থেকে শুধু বড় পুজো কমিটি নয়, সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলিকেও বিশেষ সম্মান জানাবে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ডের তালিকায় এবার মহিলা পরিচালিত পুজোগুলিরও জায়গা হবে। ফলে এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই মহিলা কমিটিগুলির মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের দুর্গাপুজো এবার তাই শুধু উৎসব নয়, সামাজিক বার্তাও বয়ে আনছে। পুলিশের এই নতুন উদ্যোগে আশা করা হচ্ছে, পুজোর ভিড় আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নিরাপদ হবে।





