দিঘায় বড় আয়োজন, ভিনরাজ্য থেকে ছুটে এলেন অনেকে! সৈকত শহরে কী এমন হল?
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Yoga Competition in Digha: এখান থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন
<strong>পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতিঃ</strong> যুবসমাজকে যোগাসনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছনোর লক্ষ্যে দিঘায় আয়োজন হল জাতীয় পর্যায়ের যোগাসন মিট। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিউ দিঘায় একটি বেসরকারি অতিথিশালায় মহাসমারোহ এই যোগাসন মিটের আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিঘায় উপস্থিত হন। মোট ২৪৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
advertisement
এই জাতীয় মিলনে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্য থেকে প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রছাত্রীরা নানা বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শন করেন। প্রতিযোগিতার মান দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বিচারক ও দর্শকরা। এই ধরনের মিলন দিঘাকে শুধু পর্যটন নয়, বরং ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বিশেষ মর্যাদা দিচ্ছে। যোগাসনকে ঘিরে দিঘার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
এই যোগাসন সি হক কাপ প্রতিবছর আয়োজন হলেও এবার দ্বিতীয় বছরে আয়োজন ছিল অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ। ছাত্রছাত্রীদের যোগাসনের দক্ষতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় উৎসাহ দেওয়াই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীরা যোগাসনের ভঙ্গি প্রদর্শন করে দর্শক ও বিচারকদের মুগ্ধ করেন। আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, আগামী বছরে আরও বড় আকারে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দিঘার মানুষ এতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
এই অনুষ্ঠানে জেলার পাশাপাশি রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বহু যোগা প্রশিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রতিযোগিতার মান ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভার যথেষ্ট প্রশংসা করেন। উপস্থিত দর্শকরাও প্রতিযোগীদের প্রাণবন্ত প্রদর্শনী উপভোগ করেন। আয়োজকদের মতে, এই ধরণের উদ্যোগ শুধু ক্রীড়া নয়, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যোগাকে প্রতিষ্ঠিত করবে। ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে শৃঙ্খলা, একাগ্রতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, যোগাসনের এই জাতীয় মিলন ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছনোর সেতুবন্ধন তৈরি করছে। এখান থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। একই সঙ্গে এই আয়োজন দিঘার পর্যটন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। স্থানীয় অতিথিশালা, ব্যবসায়ী ও পরিবহণ শিল্পও এর ফলে লাভবান হচ্ছে। আয়োজকরা মনে করেন, এই অনুষ্ঠান দিঘাকে দেশের যোগাসন মানচিত্রে বিশেষ পরিচিতি দিচ্ছে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
সংস্থার সহ-সভাপতি দীনবন্ধু অধিকারী বলেন, 'আমাদের উদ্দেশ্য কেবল প্রতিযোগিতা নয়, যোগাসনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাত্রার পথে এগিয়ে নেওয়া। সি হক কাপ ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। আমরা চাই যোগাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দিতে। এই আয়োজনের মাধ্যমে তরুণরা আরও উৎসাহিত হবে এবং সুস্থ সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেবে'। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)