৪৪তম বর্ষে পা রাখা দাদাভাই ক্লাবের এই বছরের থিম ‘আরাত্রিক’। ঘণ্টা, প্রদীপ, শঙ্খ সহ নানা পুজো সামগ্রী, যা বাঙালিয়ানা ও ঈশ্বরে আস্থার প্রতীক হিসেবে ধরা হবে সেগুলি দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। প্রবেশের মুখেই দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে ১২ ফুট উঁচু মঙ্গল ঘট। ক্লাবের সেক্রেটারি রবি শংকর চক্রবর্তী জানান, ‘আজকের থিমের দৌড়ে অনেক সময় পুজোর মূল আবহাওয়া হারিয়ে যায়। তাই আমরা ভারতীয় আচার-অনুষ্ঠানের আবহে আসল পুজোর আমেজ ফিরিয়ে আনতে চাই’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় দুষ্কৃতী হামলা! ব্যবসায়ীকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই, শহরে শোরগোল
অন্যদিকে সুব্রত সংঘ এই বছর ৬৫তম বর্ষে পদার্পণ করছে। হীরক জয়ন্তী উদযাপনে তাঁরা থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘প্রকৃতি’। প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার বাজেটে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে সাজানো হবে প্রতিটি অংশ। মণ্ডপে দেখা যাবে বাঁশ, বেতের চাটাই, হস্তশিল্পের নানা কাজ। শিল্পীরা তুলে ধরবেন গ্রামবাংলার গরুর গাড়ি, কুঁড়েঘর, গ্রামের সরলতার ছবি। এর পাশাপাশি কংক্রিটের ঘরবাড়ি ও উন্নয়নের নামে গাছ কাটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাবে এই থিম।
ক্লাবের সদস্য অসীম কুমার সেনগুপ্ত বলেন, ‘মানুষ প্রতিদিন প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। আমরা চাই দর্শনার্থীরা থমকে ভাবুক আগের প্রকৃতি কত সুন্দর ছিল আর আমরা কেমন ভবিষ্যৎ গড়ছি!’
দেশবন্ধুপাড়ার এই দুই বিগ বাজেট পুজো মানেই আবার প্রচণ্ড যানজট ও পার্কিং সমস্যা। এনজেপি স্টেশনে যাওয়ার মূল সড়ক হওয়ায় দুর্গোৎসবের কয়েকদিন যাত্রীদেরও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। অনেকসময় অষ্টমী বা নবমীতে পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পায়। এবার সেই চিত্র এড়াতে পুলিশ প্রশাসন আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ খেলতে খেলতেই হঠাৎ…! কাকদ্বীপে ২ শিশুর মৃত্যু, ভরদুপুরে মর্মান্তিক ঘটনা
আগেই কিছু রাস্তা বন্ধ করে বিকল্প রুট ঠিক করা হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে বিশেষ পার্কিং জোন, মণ্ডপের একশো থেকে দু’শো মিটার দূরে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ছোট গাড়ি পার্ক করা সহজ হলেও বড় গাড়ির জন্য সমাধান খোঁজা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, দাদাভাই ক্লাবের ‘আরাত্রিক’ ও সুব্রত সংঘের ‘প্রকৃতি’, দু’টি থিমই শিলিগুড়ির দুর্গোৎসবকে অন্য মাত্রা দিতে চলেছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে ভিড়, উৎসবের আমেজ ও ভাবনার খোরাক- ঠিক যেমনটা প্রতিবছর শহরবাসী প্রত্যাশা করেন।





