থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে প্রতিমা গড়ছেন মৃৎশিল্পী রোহিত যাদব। রূপায়ণে রয়েছেন মণ্ডপশিল্পী নেপাল দাস। আলোয় থিমকে ফুটিয়ে তোলার দায়িত্বে রয়েছেন আলোকশিল্পী দীপ সরকার।
এই বিষয়ে পুজো কমিটি মেম্বার উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাজেট সীমিত হলেও তাঁরা এমন এক জায়গায় থিম নিয়ে যেতে চেয়েছেন, যেখানে শুধু শিল্প নয় সামাজিক দায়বদ্ধতাও উঠে আসবে। শোলা একসময় দেবতার কাছে পৌঁছনোর সবচেয়ে পবিত্র মাধ্যম ছিল। এখনই মানুষকে ফের সেই সঠিক পথে ফেরানোর সময়। তাঁদের বিশ্বাস, দর্শনার্থীরা পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগের বার্তা গ্রহণ করবেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, একসময় দেবতার সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের সহজতম মাধ্যম ছিল শোলা। প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জা, শোলার কোমল স্পর্শে ছড়িয়ে থাকত ভক্তির আবহ। কিন্তু কাঁচামালের অভাব ও আধুনিক চাকচিক্যের ভিড়ে পরিবেশ বিধ্বংসী থার্মোকল ধীরে ধীরে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে। শিল্পীদের হাত দিয়ে যেন ঘটছে শিল্পের ক্ষয়। এবারের থিম এই বিপর্যয়ের দিকে আলোকপাত করতে চায়। উদ্যোক্তাদের কথায়, শোলা শিল্প বাঁচুক, বাঁচুক শোলা শিল্পীরা ও তাঁদের তৈরি পরিবেশন। বলাই বাহুল্য, এই বছর সব্যসাচী ক্লাব একদিকে শিল্পকলা অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষার বার্তা বহন করবে।